শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ওই ইলিশটি বিক্রি হয়।
সোনালী রংয়ের এই ইলিশটি শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর এলাকার এক জেলের জালে ধরা পড়ে। মাছটি মাওয়া ঘাটের একটি মৎস আড়তে নিয়ে আসেন তিনি। সেখানে মাছটি সিদাম দাশ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে ২৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সিদাম নামে ওই ব্যবসায়ী আবার ইলিশটি এক হাজার টাকা লাভে ৩০ হাজার টাকা দামে ঢাকার এক মৎস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
ইলিশের এ আকাশচুম্বী দামের জন্য ইলিশের সঙ্কট ও আসন্ন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যে নতুন চাহিদা তৈরি হয় তাকে দুষলেন মৎস আড়ত মালিকরা।
মাওয়া ঘাটের নাদিম মৎস্য আড়তের পরিচালক মো. জালাল মৃধা বলেন, ‘আজ সকালে চাঁদপুর থেকে দেড় কেজি বা তার একটু বেশি ওজনের একটি ইলিশ আমার আড়তে আসে। পরে মাছটি সাড়ে ১১ হাজার টাকায় রাজধানীর এক পাইকার কিনে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সোয়া কেজি ওজনের দুটি মাছ নয় হাজার টাকায় করে বিক্রি হয়েছে। এক কেজির কম পরিমাপের বিভিন্ন সাইজের এক হালি ইলিশ প্রকারভেদে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
মো. মজিদ শেখ নামের আরেক এক মৎস আড়ত পরিচালক বলেন,‘গত কয়েকদিন থেকে এখানে পদ্মার বড় ইলিশের খুবই সঙ্কট রয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে না।কয়েকদিন আগেও ইলিশের পাইকাররা এক কেজির সামান্য কম ওজনের এক হালি ইলিশ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও গত সোমবার থেকে এসব ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকায়। এক কেজির বেশি হঠাৎ যাও পাওয়া যাচ্ছে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায়।’
তিনি আরও বলেন,‘সোমবার ভোরে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর এলাকার নামার পদ্মা থেকে জেলেরা বড় ভিন্ন ভিন্ন সাইজের কয়েকটি ইলিশ মাছ আমার আড়তে আনে। এ সময় মাছগুলো আমি ডাকে বিক্রি করি ১১ থেকে ১২ হাজার টাকায়। ঢাকার এক পাইকার দুই কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ ও এক কেজি পরিমাপের কম ওজনের চারটি ইলিশ মাছ ২২ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যায়।’