
শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে একই সীমান্তে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সমবেত হন। গাজার মেডিকেল কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবর রয়টার্সের।
নিহতদের মধ্যে আছে ১৭ বছর বয়সী তিন কিশোর। অপর আরেকজন প্রধান র্যালির ঘণ্টাখানেক আগে নিহত হয় বলে জানান মেডিকেল কর্মকর্তারা।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
গত বছরের ৩০ মার্চ নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবিতে গাজায় বিক্ষোভ শুরু হলে ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলিতে এ পর্যন্ত ২৫৯ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় গত এক বছরে ৪০ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য। এতে উত্তেজনা প্রশমনে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইসরাইলের দখল করে নিয়ে যাওয়া নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবিতে প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ফিলিস্তিনিরা।
১৯৪০ দশকে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতিষ্ঠালগ্নে এসব ফিলিস্তিনি পরিবারকে তাদের বসতভিটা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
এ ছাড়া গাজায় গত এক দশকের ইসরাইলি অবরোধ উঠিয়ে নেয়ারও দাবি জানিয়ে আসছেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধের কারণে ২০ লাখ লোকের বসতি গাজার অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৪০ শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও তিন হাজার শিশুকে হাতপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। কেউ কেউ সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে।
শিশুদের যাতে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো না হয়, সেই আবেদন রেখেছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে- ভবিষ্যৎ ও ঝুঁকির কথা বিবেচনায় না রেখেই শিশুদের ব্যবহার করা কিংবা সহিংসতায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা শিশু অধিকারের লঙ্ঘন।