তিনি বলেছেন, ‘আমরা এ কথা বারবার বলেছি তিনি (খালেদা জিয়া) এ হাসপাতালে আসতে চান না। তিনি মনে করেন, এখানে তাঁর চিকিৎসা হয় না। আমরা তাই বারবার বলেছি তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে। কিন্তু সরকার এ কথায় কোনো কর্ণপাত করেনি। আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, শঙ্কিত তাই দাবি করছি তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হোক, সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে তাঁর চিকিৎসা কীভাবে হচ্ছে।’
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সব কথা বলেন।
দলের প্রধানকে কারাগার থেকে হাসপাতালের আনা উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তারসহ বেশ কিছু বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে তাদেরকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, তাঁকে ইমিডিয়েটলি হসপিটালাইজড করা দরকার তাই আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি কারাগারে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর আগে গতবার যখন তাকে পিজি হাসপাতাল থেকে ফেরত নেয়া হয় তখন ছাড়পত্র ছাড়াই কারাগারে নেয়া হয়েছে। তারপর থেকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। এবং কর্তৃপক্ষ সেখানে যাননি। প্রায় ৪ মাস পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর চিকিৎসকরা তাঁর রক্ত পরীক্ষা করতে যায়, সেই রক্ত পরীক্ষার প্রায় ১ মাস পরে আজকে তাকে হাসপাতালে আনা হলো।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করবো সরকার যেন এখানে সর্বোত্তম চিকিৎসা এবং একটা সুষ্ঠু পরিবেশ তাকে দেয়া হয়। আমরা আগেও বারবার বলেছি এখানে এমন ব্যবস্থায় তাকে যেন রাখা না হয় যাতে তিনি মনে করেন বন্দি অবস্থায় তার চিকিৎসা হচ্ছে। তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডের সাথে সমন্বয় করারও দাবি করেন ফখরুল।
তাকে জোর করে এখানে আনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘এটা আমরা জানি না। তাকে ইমিডিয়েটলি হসপিটালাইজড করা দরকার।’