
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার সুচিকিৎসার জন্য সরকার আন্তরিক। আমার চাই তার সুচিকিৎসা হোক।’
সোমবার ( ১ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলীয় জোটের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নাসিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ( বিএসএমএমইউ) বিশ্ব মানের চিকিৎসা হয়ে থাকে। এটা উপমহাদেশে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠিও স্বীকার করেছেন। তাছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় আমাদের ( আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদকের চিকিৎসাও এই বিএসএমএমইউতেই হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের সরকার বিভিন্ন বিষয়ে নীতিনির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব হলো সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অধিদফতরের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের প্রশাসনে যারা থাকেন। তাদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অনিয়ম আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়।’
১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সফল সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে আমরা জঙ্গি দমন করেছি। শিক্ষা স্বাস্থ্য সবক্ষেত্রেই আমরা দৃশ্যমান সফলতা অর্জন করেছি। সেই সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কিছু জায়গায় চিহ্নিত গোষ্ঠী কাজ করে যাচ্ছে। ১৪ দল এই সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। জনগণকে সচেতন করবে।’
সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সড়কে নৈরাজ্যের জন্য কিছু অর্থ লোভী শ্রমিক নেতা ও মালিক পক্ষ দায়ী। এর সঙ্গে বিআরটিএ-এর অধিদফতরের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দায়ী। সড়ক নিরাপদ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবয়ন হয়নি। এটা আমাদের পীড়া দেয়।’
বিএনপির কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপি- জামায়াত জোট মাঠের রাজনীতির ছেড়ে বিভ্রান্তির রাজনীতি শুরু করেছে। তারা হতাশ হলেও তাদের চক্রান্ত থেমে নেই। এফ আর টাওয়ারের মালিককে গ্রেফতার করার পর তারা সংবাদ সম্মেলন করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিএনপি নেতারা কি অপরাধ করতে পারে না। অপরাধীদের পক্ষ নিয়েই আজ দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
২০০৫ সালে সম্পূর্ণ নকশা বহির্ভূতভাবে বনানীর এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে বলে যোগ করেন নাসিম।
এসময় তিনি ১৪ দলের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, এপ্রিলের ১০-১১ তারিখে মতিঝিল অভিভাবক সমাবেশ, ১৫-১৬ তারিখে রাজনৈতিক, সমাজিক, সংবাদিক, শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক। ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে ১৯ তারিখ শিখা চিরন্তনে সমাবেশ। এছাড়া রমজান মাসে দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করার কথাও জানান নাসিম।