খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার, ০২এপ্রিল ২০১৯ঃ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা) কর্মরত শিক্ষকদের জন্য প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে এসিআর (অ্যানুয়াল সিক্রেট রিপোর্ট)। সংশ্নিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এই এসিআর লিখবেন। তাতে প্রতিস্বাক্ষর করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক।
সারাদেশে মাউশির ৯ জন আঞ্চলিক পরিচালক রয়েছেন। আর প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক) এসিআর লিখবেন মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক। তাতে প্রতিস্বাক্ষর করবেন মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক। এরপর তা সরকারের কাছে (মাউশিতে) জমা দেওয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও যোগ্যদের মূল্যায়নের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের এসিআর চালু করা গেলে পদোন্নতিসহ শিক্ষকদের সার্বিক উন্নয়নে তা কাজে লাগানো হবে। বেতন স্কেলের পরবর্তী উচ্চতর ধাপে যেতেও তা প্রয়োজন হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষকদের সংখ্যা বিপুল হওয়ায় তাদের এসিআরের বিষয়টি কাগজে-কলমে না করে অনলাইনে ‘ই-এসিআর’ করার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য পৃথক নতুন একটি সফটওয়্যার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। আর সহযোগী অধ্যাপকদের এমপিওভুক্তির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গত ২৭ মার্চ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) মো. জাবেদ আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির খসড়া নীতিমালা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাউশিকে।