Mon. Jun 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বুধবার, ০৩এপ্রিল ২০১৯ঃস্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সোমবারের (৮ এপ্রিল) মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অবস্থিত সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় সোমবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন নুর।

নুর বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক উপাচার্য ডাকসুর সভাপতি। তার পরেই ভিপির অবস্থান। সে জায়গা থেকে ভিসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের অভিযোগ শুনেছেন। আমরা বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গতকালের (মঙ্গলবার) ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সোমবারের মধ্যেই আমরা দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেখতে চায়। যদি প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেবো।’

ডাকসুর ভিপি আরও বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় আমাদের কয়েকটি দাবি ছিল। দাবিগুলো হলো- হলে যাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছি তাদের বিচার করতে হবে এবং হল থেকে সব বহিরাগত, অছাত্র এবং অবৈধদের বের করে দিতে হবে। ভিসি আমাদের এসব বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তার কথার ওপর আস্থা রেখেছি।’

এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেন, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি এবং ডাকসুর ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অরণি সেমন্তি খান ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, তালিম হাসান রিজভি, শাফি আব্দুল্লাহ, রাইহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে ঢাবির উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে মারধরের ঘটনার অভিযোগপত্র দিতে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে যান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি, ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, অরণি সেমন্তি খানসহ কয়েকজন। সে সময় নুরসহ ছাত্রনেতারা হলটির ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয় ও অবরুদ্ধ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর হলটির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার ও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন সেমন্তি, ইমি ও বেনজির। তাদের গায়ে ডিমও ছুড়ে মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।