
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে এক বার্তায় ৮২ বছর বয়সী দুই দশকের এ শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, আব্দেল আজিজ বুতেফ্লিকার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির রাজধানী আলজিয়ার্সের রাস্তায় উল্লাস করেছেন বহু মানুষ। এ সময় উল্লাসকারী লোকদের হাতে আলজিয়ার পতাকা ছিল।
প্রেসিডেন্ট বুতেফ্লিকার পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী আলজিয়ার্সে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা ২০ বছর বয়সী নুরহানে আতমানি বলেন, ‘নতুন কিছু অনুভব করছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, একজন নতুন প্রেসিডেন্ট হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের এ ঘোষণায় তিনি আনন্দিত হওয়ার পাশাপাশি ভীতও। কেননা, নুরহানে মতে, এটি প্রথম পদক্ষেপ। নতুন সরকার গঠনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
এর আগে সোমবার (১ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আগামী ২৮ এপ্রিল নিজের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট আব্দেল আজিজ বুতেফ্লিকা। খবরে এটাও বলা হয়, কিন্তু তার আগে সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন তিনি।
আব্দেল আজিজ বুতেফ্লিকা প্রায় ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। ২০১৩ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে কদাচিৎ প্রকাশ্যে দেখা গেছে। আগামী ২৮ শে এপ্রিল তার চতুর্থ মেয়াদের দায়িত্ব শেষ হবে।
বর্তমানে বুতেফ্লিকা হুইলচেয়ারে করে চলাফেরা করেন। ২০১৩ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তাকে সাধারণত প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে।
গার্ডিয়ান বলেছে, আব্দেল আজিজ বুতেফ্লিকার দীর্ঘ ২০ বছরের শাসনের অবসান মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার জন্য একটি বার্তা। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলের জনপ্রিয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন বিজয় বলেও উল্লেখ্য করে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি।
তবে পরবর্তীতে কী ঘটছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ ফ্রান্সের কাছ থেকে ১৯৬২ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আলজেরিয়ার রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে খুব কম পরিবর্তন দেখা গিয়েছে।