Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, রবিবার, ০৭এপ্রিল ২০১৯ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমরা প্যারোলের কথা বলিনি। আমরা জামিনে তার নিঃশর্ত মুক্তির কথা বলেছি।’

এ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার দেশনেত্রীকে আটক করে রেখেছে। কারণ তারা ভয় পায়। দেশকে বাঁচাতে হলে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনি।’

র‌বিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএন‌পির উদ্যো‌গে “গণতন্ত্রের মা বেগম খা‌লেদা জিয়ার সু‌চি‌কিৎসা ও নিঃশর্ত মু‌ক্তির দা‌বি‌তে” আ‌য়ো‌জিত গণঅনশ‌নে সভাপতির বক্তব্যে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

গণঅনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আদালতে সরকারের প্রভাব থাকায় আইনি পথে দেশনেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। আইনজীবী হিসেবে আপনাদের বলবো, আইনি প্রক্রিয়ায় দেশনেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। আপনারা যদি চান, একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করতে হবে।’

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, স্বামীকে ছেড়ে ছিলেন। এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জেল খেটেছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য ৯ বছর লড়াই করেছেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। নারীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা করেছেন। আর তাকেই কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন। হায়রে বাংলাদেশ!’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনুকম্পা বা দয়ায় হবে না, আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে দেশনেত্রীকে। সময় আসবে, ঘোষণা আসবে প্রস্তুতি নিন। দেশনেত্রীকে মুক্ত করা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সময় বেশিদিন নাই। শেখ হাসিনা প্যারোলে মুক্তি নিয়েছেন, কিন্তু খালেদা জিয়া প্যারোল নেন নাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো, খুব বেশিদিন নাই- আপনাদের নেতাকে জনগণের কাছে প্যারোল চাইতে হবে। জনগণের নেত্রী জনগণের মাঝে আসবে জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে। কারও অনুকম্পা চাই না।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে একসঙ্গে লড়বো। ড. কামাল হোসেন, আসম আবদুর রব, মোস্তফা মোহসিন মন্টুসহ আমরা সবাই এক আছি। ভুল বুঝবার কোনো কারণ নেই। আমাদের সাত দফার প্রথম দাবি হলো বেগম জিয়ার মুক্তি।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ গণতন্ত্র আর খালেদা জিয়া এক কথা। বিএনপি আন্দোলন না করলেও বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন। যে আদালতে যে বিচারক তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন সেই বিচারকের জনগণের আদালতে শাস্তি হবে।’

এর আগে রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় এ গণঅনশন শুরু হয়। বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

অনশনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম আকবর খন্দকার, যুগ্ম-মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম,  জাসাস এর সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রিপন, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, লিয়াকত আলী, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, জাসাস নেতা আশরাফুল ইসলাম দিপু, শফিকুল হাসান রতন, ইঞ্জি: মঞ্জু মিয়া, মোঃ মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, শামসূল ইসলাম, আব্দুল কাদের,ওমর, সাজু, সাদ্দামসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।।