খােলাবাজার ২৪,সোমবার, ১৫এপ্রিল ২০১৯ঃ চীন বিশ্বের প্রথম সশস্ত্র উভচর ড্রোন জাহাজ চালানোর পরীক্ষায় সফল হওয়ার দাবী করেছে। চীনা সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ভূমিতে ও আকাশে ড্রোন হামলায় ব্যবহার করা যাবে।
উচাং শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি এবং চায়না শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশনের তৈরি মেরিন লিজার্ড নামের ড্রোন বোটটি গত ৮ এপ্রিল কারখানা থেকে বাইরে পাঠানো হয়, সোমবার জানায় চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস।
সর্বোচ্চ ১,২০০ কিলোমিটার জুড়ে অভিযান চালাতে সক্ষম মেরিন লিজার্ড স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।
জাহাজের গড়নে তৈরি ১২ মিটার দীর্ঘ মেরিন লিজার্ড গোপনে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯২ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। মাটিতে এটি চলতে পারে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে। তবে এই গতিবেগ ভবিষ্যতে বাড়ানো সম্ভব, বলেন কর্মকর্তারা।
প্রায় ১৭৮ বিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা বাজেট এবং বিশ্বের বৃহত্তম সৈন্যবাহিনী (২০ লাখ সদস্য) নিয়ে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেকগুলো নতুন ধরনের অস্ত্র তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে।
মেরিন লিজার্ডে সংযুক্ত যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেম এবং রাডার সিস্টেম। এর অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দু’টি মেশিন গান। আরও রয়েছে জাহাজ ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ব্যবস্থা।
এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানিতে চলার সময় বাধা-বিঘ্ন এড়িয়ে চলতে এবং গমনপথের পরিকল্পনা তৈরি করতে সক্ষম।
কোনও দ্বীপে আক্রমণের জন্য মেরিন লিজার্ড বেশ কার্যকরী। এসব ক্ষেত্রে প্রথমে গোলা নিক্ষেপ এবং বিমান হামলার পর এধরনের অনেকগুলো ড্রোন বোট অভিযানের নেতৃত্ব দিতে পারে, পত্রিকাটিকে বলেন অজ্ঞাতনামা একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ।
সমুদ্র থেকে মাটিতে আক্রমণ অত্যন্ত বিপদজনক। এসব ক্ষেত্রে মনুষ্যবিহীন মেরিন লিজার্ড শত্রুর অবস্থান নির্ণয় এবং গুলিবর্ষণের মাধ্যমে সৈন্যদের সাহায্য করতে পারে। উপকূল রক্ষাতেও এই বোট অত্যন্ত কার্যকরী। জনমানুষ বিহীন একটি দ্বীপে মেরিন লিজার্ড পাঠিয়ে দিলে আট মাস পর্যন্ত সেটিকে যুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে, জানান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।