খােলাবাজার ২৪,বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ঃগত বৃহস্পতিবার উকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর থেকে ইকুয়েডরের সরকারের ওপর চার কোটিরও বেশি সাইবার হামলা চালানো হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ মঙ্গলবার জানায়, দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোর ওয়েবপেজসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবপেজ লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়।
সোমবার এক বিবৃতিতে একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে দেয়া রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করায় এই হামলা চালানো বলে মনে করছেন তারা।
ইকুয়েডরের তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপমন্ত্রী প্যাট্রিসিও রিয়াল বলেন, সরকার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সাইবার হুমকির মোকাবেলা করছে।
ইকুয়েডরের সরকারের বিরুদ্ধে এসব সাইবার হামলা আক্রমণ চালানো হয়েছে মূলত ‘যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, হল্যান্ড, জার্মানি, রুমানিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া এবং যুক্তরাজ্য থেকে’, বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন রিয়াল।
রিয়াল আরও জানান, এসব হামলায় কোনও তথ্য চুরি করতে বা মুছে ফেলতে সক্ষম হয়নি হ্যাকাররা।
দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাভিয়ের জারা সোমবার দাবী করেছেন, ব্যাপক হারে এসব হামলার অনেকগুলোই চালিয়েছে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন দল।
অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়া হয় গত বৃহস্পতিবার। এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রেসিডেন্ট মোরেনো বলেন, অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার রীতি অ্যাসাঞ্জ বার বার ভঙ্গ করায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফক্স নিউজ জানায়, সোমবার উইকিলিকস ইকুয়েডরের সরকারকে হুমকি দিলে এই রীতি লঙ্ঘন চূড়ান্ত রূপ নেয়।
‘আমার সরকারের ভয়ের কিছু নেই এবং আমরা হুমকির মুখে কোনও কাজ করি না,’ বিবৃতিতে বলেন মোরেনো।
ইকুয়েডরের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফেল কোরেয়ার আমলে অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দেওয়া হয় হয়েছিল লন্ডনের দূতাবাসে। ও সময় থেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছিলেন মোরেনো। ক্ষমতায় আসার পর তিনি অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সীমিত করে দেন এবং তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনেন।
প্রায় সাত বছর ইউকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেয়া হলে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে।