বৃহস্পতিবার প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) প্রকাশিত বার্ষিক সূচকে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬তম। ২০১৫ সালেও ছিল ১৪৬। কিন্তু, পরেরবার ২০১৬ সালে দুই ধাপ উন্নতি হয়ে ১৪৪তম হয়। কিন্তু, এক বছর না যেতেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বড় অবনমন হলো।
আরএসএফ’র বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০১৮ (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৯)– এ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। আর তালিকার সর্ব তলানির দেশ ভিয়েতনাম।
সূচকে বাংলাদেশকে ‘রিপোর্টিংয়ের মারাত্মক ক্ষেত্র’ উল্লেখ করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
আরএসএফ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন মারাত্মকভাবে বেড়েছে। মাঠ পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ এবং সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা বেড়েছে।
বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সরকারি দলের কড়া নীতির যৌথ শিকার বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নির্বাহীরা। এই আইনে নেতিবাচক প্রচারণার শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। যেসব সাংবাদিক এবং ব্লগাররা সমাজে অতিরিক্ত ধর্মনিরপেক্ষ মতপ্রকাশের সুরক্ষা চান তারা উগ্রবাদী ইসলামপন্থীদের হয়রানি আর হত্যার শিকার হচ্ছেন।