
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের অধিক্ষেত্র এলাকায় উপকর আরোপ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকার পরেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এই আইন কার্যকর করতে হবে।’
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অডিটরিয়ামে ১২ দিন ব্যাপী ‘পৌরকর মেলা ২০১৯’ এর উদ্বোধনকালে মেয়র একথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘যেদিন থেকে আমি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নিয়েছি তার ১০ দিনের মাথায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্নের উপক্রম ছিল। আজ নগরী এলইডি বাতিতে আলোকিত। শতকরা ৯৯ ভাগ বাতি জ্বালিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। ৮৫ ভাগ রাস্তা চলাচলের উপযোগী। জলসবুজে ঢাকা প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ ও পার্কগুলো বদলে যেতে শুরু করেছে। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমরা বদলে দিতে চাই এই শহরকে।’
মেয়র বলেন, ‘নাগরিক আয়তন বেড়েছে। কিন্তু জনবল বাড়েনি। আমরা যে পরিমাণ আয় করি তার চেয়ে চারগুণ উন্নয়ন ব্যয় হয়। সুতরাং আমাদের আর্থিক দিকটিও বাড়াতে হবে। আমাদের উভয় সিটির সক্ষমতা সেভাবে বাড়েনি। এভাবে চলতে পারে না। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা সক্ষমতা বাড়াতে চাই।’
মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী সিটি করপোরেশনগুলো তার এলাকায় সরকারের অর্জিত আয়ের ওপর উপকর আরোপ করতে পারবে। এই আইনটি যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে এই দুর্দশা কেটে যাবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার যেসব কর নিচ্ছে সেখান থেকে সিটি করপোরেশনকে উপকর দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির স্বার্থে এবং নগরবাসীকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য ১২ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ডিএসসিসি নগরবাসীকে হোল্ডিং ট্যাক্স (পৌরকর) মোট বকেয়ার ওপর ১৫ শতাংশ মওকুফ এবং চলতি অর্থ বছরের হালনাগাদ পৌরকর একসঙ্গে পরিশোধ করলে আরো ১০ শতাংশ ছাড়া দেয়া হবে।