Mon. Jun 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার, ২৫এপ্রিল ২০১৯ঃ নিবন্ধন সম্পর্কিত কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের খরচ কমিয়েছে সরকার। এর আগে ২০ হাজার টাকা মূলধন হলে কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য সরকারের নিবন্ধকের কার্যালয়কে ৭০০ টাকা ফি দিতে হতো। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকার বেশি মূলধনের কোম্পানি বিভিন্ন ধাপে ধাপে নিবন্ধন ফি ছিল। এখন থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনের কোম্পানি নিবন্ধনে কোনো ফি লাগবে না। একইভাবে কোম্পানির ডিজিটাল সনদ সরবরাহে নিবন্ধকের কার্যালয় প্রতিবারের জন্য এক হাজার টাকা নিত। এই খরচও তুলে নিয়েছে সরকার। বিনা পয়সায় ডিজিটাল সনদ সরবরাহ করবে নিবন্ধকের কার্যালয়।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিবন্ধকের ফি-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। নতুন ফি কার্যকর হয়েছে বুধবার থেকে।

যৌথ মূলধনী কোম্পানির নিবন্ধনের কার্যালয় নতুন যেসব ফি নির্ধারণ করেছে, তাতে ৫০ লাখ পর্যন্ত মূলধনের কোম্পানির নিবন্ধনে ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে প্রতি লাখে ৫০ টাকা নিবন্ধন ফি ধরা হয়েছে, যা আগে ছিল প্রতি ১০ হাজারে ৫০ টাকা। এ ছাড়া ৫০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বের মূলধনের কোম্পানি নিবন্ধনে প্রতি লাখে ৮০ টাকা নিবন্ধন ফি ধরা হয়েছে, যা আগে ছিল ১০০ টাকা। কোম্পানির দলিল দাখিলের ফি ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ও অনুমোদিত কোনো কিছু লিপিবদ্ধ করার ফি ৪০০ টাকা থেকে অর্ধেক কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। বন্ধক বা ডিবেঞ্চার ও চার্জ নিবন্ধনের ফিও কমানো হয়েছে। কোম্পানির সদস্য সংখ্যা ২০ জনের কম হলে তার নিবন্ধন ফি এক হাজার টাকা করা হয়েছে, যা আগে এক হাজার ২০০ টাকা ছিল। ২০ জনের বেশি কিন্তু ১০০ জনের কম সদস্যের কোম্পানির ফি ৫০০ টাকা কমিয়ে আড়াই হাজার টাকা করা হয়েছে। সংঘবিধিতে কোম্পানির সদস্য অনির্দিষ্ট থাকলে নিবন্ধন ফি ৯ হাজার থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করা হয়েছে। একইভাবে আরও কিছু ফি কমানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক সহজে ব্যবসা করা বা ডুয়িং বিজনেস র‌্যাংকিং করার জন্য ১১টি সূচক বিবেচনায় নেয়। এর মধ্যে প্রথম সূচক হচ্ছে ব্যবসা শুরু করার প্রক্রিয়া। কোম্পানির নিবন্ধন ব্যয় কমানোর ফলে ব্যবসা শুরুর সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হবে। সর্বশেষ ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করার ব্যয় মানুষের মাথাপিছু আয়ের ২২ দশমিক ৮২ শতাংশ। নিবন্ধন খরচ কমায় ব্যয় ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বিডার কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা সহজ করার জন্য ডুয়িং বিজনেস পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি সহজ করা হয়েছে। এতদিন কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগের আগে পরিবেশের ছাড়পত্র লাগত। এখন থেকে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ মিলবে। অনলাইনে মূসক নিবন্ধন হবে এবং পরে তদন্ত করা হবে না। এসব কিছু মিলিয়ে বিডা একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকে জমা দেবে।

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ১৯০টি দেশের মধ্যে ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬তম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি না পাওয়ার যেসব কারণ রয়েছে তার মধ্যে এ সূচকে পেছনে থাকা অন্যতম। এ জন্য সরকার এই সূচকের উন্নয়নে বেশ জোর দিয়েছে।