Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শুক্রবার, ০৩মে ২০১৯ঃ কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে একই দিনে মারা গেছে ছয়জন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার পাকুন্দিয়ায় তিনজন, মিঠামইনে দুইজন ও ইটনায় একজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, পাকুন্দিয়ার আসাদ মিয়া(৪৫), মুজিবুর রহমান(৩৫) নুরুন নাহার(৩২), মিঠামইনের মহিউদ্দিন(২২), সুমন মিয়া (৭) এবং ইটনার রুবেল দাস (২৬)।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামে আসাদ মিয়া নামে এক কৃষক নিজ বাড়ির সামনের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আসাদ মিয়া নিহত হন। নিহত আসাদ মিয়া কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে।

ওসি ইলিয়াস আরো জানান, বিকেল সাড়ে চারটায় পাকুন্দিয়ার চর পাড়াদি ইউনিয়নের চর আলগি গ্রামে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মুজিবুর রহমান এবং নুরুন নাহার মারা যান। মুজিবুর মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। অন্যদিকে ধান ভাঙাতে যাওয়ার সময় বৃষ্টির মুখে পড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুন নাহার। বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

দুপুর একটার দিকে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের হাওরে বৃষ্টিপাতের মধ্যে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুমন মিয়া নামে সাত বছরের এক শিশু নিহত হয়। এ সময় শিশুটির আনতে যাওয়া ষাঁড় বাছুরটিও বজ্রপাতে মারা যায়। এছাড়া বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের নিকটবর্তী হাওরের জমিতে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মহিউদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রাব্বানী জানান, নিহত সুমন মিয়া উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে এবং নিহত মহিউদ্দিন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে।

ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে রুবেল দাস (২৬) নামে এক যুবক জমিতে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আচমকা বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং সংঘটিত বজ্রপাতে রুবেল দাস গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুবেল দাস কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে।