Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শনিবার, ০৪মে ২০১৯ঃ ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কুটক্তি করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে পুলিশ তার পেটে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে সিরাজের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। এক পথচারী মহিলার সহায়তায় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহযোগিতা এবং তত্ত্বাবোধনে চিকিৎসা চলে।সিরাজুল ইসলাম সিরাজ তিন দিন লাইফ সাপোর্ট ও পাঁচ দিন আইসিইউতে ছিলেন।তার শরীরে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করে তার শরীরের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা কাটিয়ে আবার রাজপথে ফিরে আসেন শ্লোগান মাস্টার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

গুলি খাওয়ার পর সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সহ কর্মৃমীরা মনে করেছিল সিরাজ মারাই যাবে। মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসা সিরাজ এখনো সেই দুর্বিষহ স্মৃতি বুকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের নামে নব-উদ্যমে রাজপথে শ্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখরিত করে রাখছে।

গুলিবিদ্ধ ছাত্র নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ খোলাবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই সকাল ১১ টায় তারেক রহমানের নামে সরকার কুটক্তি করার বিরুদ্ধে আমরা মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায়। আমি প্রথম গুলি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে দ্বিতীয় দফায় পুলিশ আমার কাছে এসে আমার পেটে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আবার রাজপথে ফিরে আসতে পেরে মহান আল্লাহ তায়লার কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি।

গুলিবিদ্ধ ছাত্র নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ আরো বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ভাইয়ার সহযোগিতাসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, বড় ছোট বিভিন্ন পর্যায়ের ভাই- বন্ধু, বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঐকান্তিক চেষ্টা ও ভালোবাসায় মহান রব্বুল আল-আমিন হয়ত নতুন জীবন দিয়েছেন। যারা সেদিনগুলোতে পাশে ছিলেন তাদের প্রতি শুধু কৃতজ্ঞতা নয় হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকে সব সময়। তাদের সেই দিনগুলোতে সহযোগিতা, সাহস, অনুপ্রেরণা আমাকে সুস্থ হতে সহযোগিতা করেছে। জীবনে শেষদিন পর্যন্ত শহীদ জিয়ার নামে শ্লোগান দিতে চাই। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলে দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারলে স্বার্থক মনে করবো নিজেকে।

পারিবারিকভাবে বিএনপি পরিবারের সন্তান সিরাজ। তার পিতা পেশায় শিক্ষক এবং পিরোজপুর সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সিরাজের শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তৃণমূল ছাত্রদলের কাছে শ্লোগান মাস্টার হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সম্পর্কে  পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন খোলাবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই তারেক রহমানের নামে কুটক্তি করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হয় সিরাজ।আমরা মনে করেছিলাম সিরাজ মারাই যাবে। সিরাজকে নিয়ে আমরা গর্বিত। তার ত্যাগ, রক্ত দল ও আমরা ভুলতে পারি না। সাবেক ছাত্রনেতা হিসাবে আমার ভালো লাগে যখন দেখি আমাদের আদর্শের সু-সন্তান সিরাজরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে শহীদ জিয়া, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নামে জীবন বিলিয়ে দিতে কার্পণ্য করে না। এই সিরাজরাই আগামীদিনের অনুপ্রেরণা। এদের ভালোবাসায় এই শহীদ জিয়া পরিবার ও বিএনপি বেঁচে থাকবে অনন্ত কাল।

আমি আশাকরি তৃণমূল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছে শ্লোগান মাস্টার হিসেবেই পরিচিতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আগামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে তার ত্যাগ ও রক্তের যথার্থ মূল্যায়ন করবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান।