খােলাবাজার ২৪,শনিবার ,১১মে ২০১৯ঃ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তি। এরা বাংলাদেশে ক্যান্সারের বিষফোঁড়া। এদের চিরতরে উপড়ে ফেলতে হবে।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হল মিলনায়তনে আয়োজিত দলের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন হানিফ।
দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিএনপি-জামায়াত চক্র ষড়যন্ত্র করছে। তাঁদের ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘এই বিএনপি-জামায়াত, এরা এক অশুভ শক্তি। এরা বাংলাদেশে ক্যান্সারের বিষফোঁড়া। এরা যত দিন এই বাংলাদেশে থাকবে তত দিন এই বাংলাদেশে বারবার তারা আঘাত হানবে, বারবার তারা সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। এরা যত দিন বাংলাদেশে থাকবে বাংলদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বারবার বাধাগ্রস্ত হবে। আজকে সময় এসেছে আমাদের, সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ক্যান্সারের বিষফোঁড়াকে আমরা চিরতরে উপড়ে ফেলতে চাই।’
বিএনপি নাশকতার রাজনীতি করে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে। আজ তিনি আদালত কর্তৃক স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর পুত্র তারেক রহমান যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তিনি মানি লন্ডারিং কেসে দণ্ডপ্রাপ্ত দেশে এবং বিদেশে। দেশের মামলায় তো তাঁর সাজা হয়েছেই, সন্ত্রাসী মামলাতেও তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি বিদেশে পলাতক আছেন।’
তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেন হানিফ। বলেন, ‘লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। ওই সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে আমরা দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁর বিচারের রায় কার্যকর করব ইনশা আল্লাহ।’
‘আওয়ামী লীগ যত দিন আছে, এই বাংলাদেশে যত দিন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে, আমরা তত দিনে এই সমস্ত অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে এই বাংলাদশকে আমরা শান্তির বাংলাদেশ হিসেবে গড়ব’, বলেন হানিফ।
এ ছাড়া সভার উদ্বোধনী ভাষণে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হানিফ তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে বিভিন্ন কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরে দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব সৃষ্টির কাজ চলছে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার দলীয় নেতাসহ অন্য নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।