Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, সোমবার, ১৩মে ২০১৯ঃ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)- ২০১৯ আসরের আগে তিন বারই শিরোপা জিতেছিল রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তিনবার জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংসও। তাই রোববার হায়দরাবাদের মাঠে ফাইনালে জিতে আইপিএল ট্রফিটা চতুর্থ বার কে ঘরে তুলতে পারে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা।

শেষমেশ চতুর্থ বার আইপিএল জিতে ট্রফি নিয়ে উৎসব করল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ বলে এক রানে জিতে চতুর্থ আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলল মুম্বাই।

এর আগে আইপিএল ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে ১৫০-এর কমে রান করে জেতার নজির ছিল তিন বার। ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্স (১৪৩ রান) বাদ দিলে বাকি দু’বার সেই কৃতিত্ব ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।

আর ২০১৩ সালে শুরুতে ব্যাট করে ১৪৮ রান করে মুম্বাই হারিয়েছিল এই সিএসকে-কে। এছাড়া ২০১৭ সালের আইপিএলে ১২৯ রান করে রোহিতের দল হারিয়েছিল রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টসকে।

এবারও ফের সেই শুরুতে ব্যাট করে ১৫০-এর কমে রান মুম্বাইয়ের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৯-৮ করেছিল হার্দিক পাণ্ড্যরা। যার কাছাকাছি এসেও জেতা হল না চেন্নাইয়ের। লাসিথ মালিঙ্গার শেষ ওভারের শেষ বলে শার্দূল ঠাকুর এলবিডব্লিউ হতেই ট্রফি হাতে উঠল মুম্বাইয়ের।

হায়দরাবাদের পিচে বল পড়ে ব্যাটে আসছিল। তাই মুম্বাই ইনিংস দেখার পরে মনে হয়েছিল, বিশ রান কম করেছে ওরা। চেন্নাইকে প্রথম ছয় ওভারে উইকেট না হারিয়ে রান তুলতে হত যতটা সম্ভব। যেটা ওরা করে দেখিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে।

রোববার সেই প্রথম ছয় ওভারে ফ্যাফ ডুপ্লেসি আউট হওয়ায় চাপ বেড়ে গিয়েছিল ধোনির দলের। কারণ এই দলটায় দুই ওপেনার ফ্যাফ ও শেন ওয়াটসন ছাড়া বাকি যার উপরে ভরসা করা যায় সে হল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু ওয়াটসন ও ধোনির দুটি রান আউটই চেন্নাইয়ের হাত থেকে ট্রফিটা কেড়ে নিল।

এ দিন, ১২ ওভার ৪ বোলের মাথায় ঈশান কিসানের ছোড়া বলে ধোনির রান আউটটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। টিভি আম্পায়ার নাইজেল লং আউট দেন চেন্নাই অধিনায়ককে। সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক আছে। বেনিফিট অব ডাউটের সুবিধা পেতেই পারত ধোনি। শেন ওয়াটসন ৫৯ বলে ৮০ রান করে ম্যাচটা প্রায় সিএসকে-র দিকে টেনে এনেছিল। কিন্তু ১৯ ওভার ৪ বোলে হার্দিকের থ্রো ধরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স উইকেটকিপার কুইন্টন ডি’কক দুরন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে উইকেট ভেঙে দেয়। আর ওখানেই শেষ চেন্নাইয়ের স্বপ্ন।

কারণ চেন্নাইয়ের এই দলটার শক্তি হল ধোনিই। তাই ধোনির আউটটাই বড় ধাক্কা। কারণ গোটা প্রতিযোগিতায় দেখা গেছে সুরেশ রায়না, অম্বাতি রায়ডুরা দলকে ভরসা দিতে পারেনি। এ দিনও তাই হয়েছে। তারা দায়িত্ব নিতেই পারল না। চেন্নাইয়ের এই নড়বড়ে মাঝের দিকের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ নিয়েই ১০ থেকে ১৫, এই ছয় ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে হার্দিক পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরা ও রাহুল চাহাররা। বিশেষ করে রাহুল। ছেলেটার সাহস আছে। গুগলি, ফ্লিপারসহ অনেক বৈচিত্র। সঙ্গে লাইন ও লেংথও ভাল। চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে রাহুলের এক উইকেটের স্পেলটাও মুম্বাইয়ের জয়ের অন্যতম একটা কারণ। আর ব্যাটসম্যানের শরীর লক্ষ্য করে আসা বুমরার বলের হদিসই পায়নি চেন্নাই।