খােলাবাজার ২৪,রবিবার,১৯মে ২০১৯ঃ মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসায় এবার দ্বিতীয় ইনিংস খেলবো বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, যানজট নিরসন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোসহ বড় বড় প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হবে। রোববার (১৯ মে) দেশে ফেরার পর প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে নিজ দফতরে যোগদান করে সংবাদ সেম্মলনে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা- টাঙ্গাইল, কাচপুরসহ বিভিন্ন রাস্তায় উন্নয়নমূলক কাজ হওয়ায় এবার ঈদে ঘরমূখী যাত্রীদের দুর্ভোগ ভোগান্তি কমে যাবে। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শারীরিকভাবে এখন আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। মানসিকভাবেও প্রস্তুত। দু মাস পরপর চিকিৎসার জন্য যেতে হবে। ১৬ জুলাই ডাক্তার দেখানোর তালিখ নির্ধারিত হয়ে আছে। তাছাড়া মাসখানেক ভারি ও পরিশ্রমের কাজ করতে বারন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে আসার পর জরুরি ফাইলেও সই করেন সেতুমন্ত্রী। পরে বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ও দেশবাসীর দোয়ায় আমি বেঁচে আছি। আমার বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অনেকেই।
চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাতৃস্নেহে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছেন, সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
সবার সহযোগিতা কামনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি নতুন করে পথ চলতে চাই। বাকি জীবনটা দেশের ও মানুষের সেবায় কাটিয়ে দিতে চাই।
প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ দুই মাস তার চিকিৎসা চলে। বুধবার তিনি দেশে ফিরে আসেন।
ওই দিন বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৮৫ ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দেশে ফিরেই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে স্ত্রীকে নিয়ে গণভবনে যান ওবায়দুল কাদের।