Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার ২১ মে ২০১৯ঃপাকিস্তানিদের ভিসা বন্ধ করে দেয়ার যে খবর বেরিয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করেনি বাংলাদেশ। উল্টো পাকিস্তান আমাদের লোকদের ভিসা দিচ্ছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে তার দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনো কারণে ব্যক্তি বিশেষে বাংলাদেশ তাদের ভিসা নাও দিতে পারে। তবে ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছাপা হওয়ায় আমরা এর প্রতিবাদ পাঠাব।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিসারদের ভিসা দেয়া হচ্ছে না এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটি ঠিক, আমাদের কিছু অফিসারককে ভিসা দেয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে কনস্যুলার সেকশন— যারা ভিসা দেয়, তাদেরকেই দেয়া হচ্ছে না। ফলে কাজ করবে কে?’

কেন দিচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওদেরকে জিজ্ঞাস করুন। আমরা আশা করি, যে কেসগুলো পেন্ডিং আছে সেগুলো দ্রুত মিটে যাবে।’

বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ’

বাংলাদেশে পাকিস্তানের কোনো রাষ্ট্রদূত নেই এ বিষয় জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা ক্যান্ডিডেট হিসেবে একজনকে পাঠিয়েছিলেন। সেটি কোনো কারণে গ্রহণ করা হয়নি। তখন তারা একজন নতুন কাউকে দেবে এটাই সাধারণ নিয়ম। কিন্তু তারপর তারা কোনো লোক পাঠায়নি। তারা লোক পাঠালে আমরা অবশ্যই কনসিডার করবো।’

এ ঘটনায় টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছি কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই না। পাকিস্তানের সঙ্গে সব জায়গায় আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। ’

এর আগে সোমবার পাকিস্তানের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানিদের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এতে বলা হয়, ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশি এক কূটনীতিকের ভিসা নবায়নে দেরি করার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চার মাস ধরে পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (প্রেস) ইকবাল হোসাইনের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন ঝুলিয়ে রেখেছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ মার্চ ইকবালের ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে বারবার আশ্বাস দেয়া হয়। এ বিষয়ে কয়েকটি বৈঠক এবং চিঠি চালাচালিও হয়েছে। কিন্তু সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।