Thu. Apr 24th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,রবিবার,২৬ মে ২০১৯ঃ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানকে বাকি দলগুলোর জন্য ‘বিপদজ্জনক’ বলে মনে করেন রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে সাকিবের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়াকে দুবার বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক

বিশ্বকাপের নাড়ি নক্ষত্র জানেন রিকি পন্টিং। একটু খোলাসা করে বললে, বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতায় পন্টিংয়ের জুড়ি নেই। ক্রিকেটের সেরা এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড তাঁর। অধিনায়ক হিসেবেও রেকর্ড তাঁর দুর্দান্ত। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা আর জয়ের রেকর্ডও তাঁর। অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন দুইবার। বিশ্বকাপ নিয়ে পন্টিং তাই কোনো কথা বললে সেটি অন্যরকম গুরুত্ব পায়। এই পন্টিংয়ের কাছেই সাকিব আল হাসানের গুরুত্ব অন্যরকম। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের ব্যাপারে ‘সাবধান’ করে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন সাকিব সত্যিই একজন ‘ডেঞ্জারম্যান’

একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ দল মোটামুটি সাকিব-নির্ভর ছিল। দিন বদলেছে। সাকিবের পাশাপাশি এখন বাকিরাও পারফর্ম করছেন। সাকিবের অনুপস্থিতিতে বড় ম্যাচ জিততেও সমস্যা হচ্ছে না। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে যেমন সাকিবকে ছাড়াই জিতেছে বাংলাদেশ। তারপরও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সাকিবকে বাংলাদেশ দলের ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হিসেবে মানেন অনেকেই। বড় টুর্নামেন্টের বড় ম্যাচে চাপ নেওয়ার ক্ষমতাই তাঁকে আলাদা করে তুলেছে। আর এবার সাকিব কিন্তু ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় অলরাউন্ডার হিসেবেই পা রাখছেন বিশ্বকাপে। অতএব, তাঁকে নিয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলোর আলাদা করে অঙ্ক কষাই স্বাভাবিক।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’ এবার বিশ্বকাপে দলগুলোর বিপদজ্জনক খেলোয়াড়দের নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজন করেছে। এ আয়োজনে বাংলাদেশের বিপজ্জনক ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবকে বেছে নিয়েছেন পন্টিং। তাঁর উক্তি, ‘বাংলাদেশের হয়ে সাকিব বিপজ্জনক। সে অনেক দিন ধরেই খেলছে। মাঠের নানা প্রান্ত দিয়ে রান করতে পারে। স্কয়ারে খুব শক্তিশালী। এ ছাড়া ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও থার্ডম্যানেও ভালো খেলে।’

সাকিবকে বেশ স্মার্ট ও চতুর ক্রিকেটার বলে মনে করেন পন্টিং। এবং সেটি বোঝা যায় যখন তাঁর হাতে বল থাকে—এমনটাই মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ অধিনায়ক, ‘সাকিব কতটা চালাক তা বোঝা যায় হাতে বল থাকলে। বলে অতটা বাঁক নেই কিন্তু অসাধারণ গতি-বৈচিত্র্য। সব সময় আক্রমণাত্মক। অন্যান্য স্পিনারদের চেয়ে আর্ম বল অনেক বেশি ব্যবহার করে। তবে এখন বাকি স্পিনারদের চেয়ে সে আলাদা। বেশির ভাগ স্পিনার রান আটকাতে চায়। কিন্তু সে (সাকিব) অন্যভাবে ভেবে থাকে। প্রথম কয়েকটি বলে সে আপনাকে ক্রিজে রাখবে। এরপর গতি-বৈচিত্র্য এনে অপেক্ষা করবে কখন ব্যাটসম্যান তাঁকে মারতে আসবে।’

বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের আসনটি বেশ কয়েক বছর আগেই দখল করেছেন সাকিব। বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগেও তাঁর সদর্প পদচারণা। আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অভিজ্ঞতা তাঁকে দলের বাকি ক্রিকেটারদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে বলে মনে করেন পন্টিং, ‘সাকিব অনেক দিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। আইপিএল ও বিগ ব্যাশেও খেলছে অনেক দিন ধরে। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বাংলাদেশ দলের জন্য। সে ও তামিম ইকবাল বিশ্বকাপে ভালো করতে পারে বলে মনে করি।’