আদিবাসী গ্রাম হিসেবে পরিচিত সুরখেদা, সানাদা আর আম্বালেতে নিজের বিয়েতে বর উপস্থিত থাকতে পারেন না। বিয়ের আসরে বরের পরিবর্তে বরের অবিবাহিত বোন বা শ্বশুর বাড়ির অন্য কোনও অবিবাহিত নারীকে বর হিসেবে গ্রহণ করে তাকে বিয়ে করেন কনে।
তবে বিয়ের দিন পাত্র কিন্তু বরের সাজেই সাজেন। মাথায় বাঁধেন সাফা। পরনে শেরওয়ানি। রীতি মেনে তলোয়ারও থাকে তার হাতে। কিন্তু সাজগোজ করলেও রীতি মেনে তাকে নিজ বাড়িতে মায়ের কাছে একরকম বন্দি হয়েই থাকতে হয়।
জানা গেছে, বিয়ের সব রীতি বরের হয়ে বরের বোনই পালন করেন। সাত পাক ঘোরা থেকে শুরু করে বিয়ের সব আচারই পালন করেন বরের বোন বা আত্মীয়া নারী। বিয়ে শেষে বউকে নিয়ে বাড়িতেও ফেরেন সেই বোন।
কথিত আছে, এই তিন গ্রামের তিন দেবতাই ছিলেন অবিবাহিত। তাদের সম্মান দেখাতেই বরকে নিজের বিয়েতে যেতে দেন না গ্রামবাসীরা। তাদের বিশ্বাস, বিয়ের সাজে নিজের ঘরে বন্দী রাখলেই বর বিপদমুক্ত থাকবে।
সুরখেদা গ্রামের প্রধান রামসিং ভাই রাঠোয়ার জানান, প্রাচীন কাল থেকে এই তিন গ্রামে এই রীতি চলে আসছে। যখনই কেউ এই রীতি ভাঙতে চেয়েছেন চরম ক্ষতি হয়েছে তার। তাই ভয়ে কেউ এই রীতি ভাঙার চেষ্টাই করে না।
তিনি আরও জানান, যারাই জোর করে নতুন নিয়ম চালু করতে গেছেন খুব খারাপ ফল পেয়েছেন। পুরনো নিয়ম না মানায় দেখা গেছে, হয় তাদের বিয়ে ভেঙে গেছে, নয়তো বড় কোনও বিপদ এসেছে তাদের জীবনে।