খােলাবাজার ২৪, সোমবার ২৪ জুন ২০১৯ঃ রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা ও তাদের সমর্থকরা। ছাত্রদল থেকে ১২ জনের বহিষ্কারাদেশ এবং এই সংগঠনের সদস্য হতে বয়সসীমা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারী বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ছাত্রদলের দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেখানে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল থেকে ১২ জনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জন সাবেক ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করার আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন– ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইখতিয়ার রহমান কবির, জয়দেব জয়, মামুন বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজীদ আরেফিন, সহ সাংগঠনিক দবির উদ্দিন তুষার, গোলাম আজম সৈকত, আবদুল মালেক, সদস্য আজিম পাটোয়ারী ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক বাসার সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন।
ছাত্রদলের কমিটিতে থাকতে বয়সের সীমা না রেখে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা। দাবি মেনে নেওয়ার দাবিতে শনিবার সংবাদ সম্মেলনও করেন তারা।
ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে আন্দোলনের মাঝেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ কিছু নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে সিনিয়র ছাত্র নেতাদের হস্তক্ষেপে রিজভীকে নিরাপদে কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপির হাইকমান্ড আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের বহিষ্কার করেন।