Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শনিবার, ২৯ জুন,২০১৯ঃ পদ্মাসেতু এখন দুই কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান। দুইদিন ধরে চেষ্টার পর অবশেষে চতুর্দশ স্প্যান `৩সি` বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ২১০০ মিটার।

ড্রেজিং করে পলি অপসারণ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দুইদিন স্থগিত থাকার পর শনিবার ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে স্প্যানটি।

একের পর এক স্প্যান বসিয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে চলছে পদ্মাসেতুর। গাড়ি ও ট্রেনে চড়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন এখন ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে।

রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চল থেকে পদ্মানদী পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে আর ২৭টি স্প্যান বসলেই।

২৯ জুন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে স্প্যানটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ওপর দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সফলভাবে বসেছে। তৃতীয় মডিউলের তিন নম্বর স্প্যান এটি। সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো ‘৩-বি’ স্প্যানের পাশেই বসেছে ‘৩সি স্প্যানটি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে আসে তিন হাজার ৬শ’ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। এরপর অবস্থান নেয় ১৪ নম্বর পিলারের কাছে।
স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী সময় এবং সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকৌশলীরা স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন।

পদ্মাসেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় বিকেল ৪টায় ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের উপর ‘৩সি’ স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়। চতুর্দশ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

জাজিরা প্রান্তে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। দেড় মাস পর ১১ মার্চ এ ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এভাবেই ধারাবাহিকতায় আজ বসল ১৪ তম স্প্যান।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।