
বুধবার ভোর ৬টায় আশুলিয়ার কাঠগড়া উত্তরপাড়া দোকাঠি এলাকার আকবর হোসেনের মালিকানাধীন একতলা একটি ভবনে রান্নাঘরে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস ৩টি কক্ষেই জ্যাম হয়ে থাকার দরুন এ বিস্ফোরণ ও দেয়াল ধ্বসের ঘটনা ঘটে ।
নিহত শিশু তাহসিন হাসান মাগুড়ার মোহাম্মদপুর এলাকার নাজমুল হাসানের ছেলে। সে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় ঐ বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে ভাড়া থাকতো।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশি ভাড়াটি রোজিনা বেগম জানান, সকালে যখন তিনি রান্না করতে যান তখন তিনি হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তখন তিনি এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান, মৌসুমির পরিহিত কাপড়-চোপরে আগুন জ্বলছে। এসময় তিনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। এসময় বিল্ডিংয়ের দেয়াল ধ্বসে পড়ে। ঘটনায় বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে অন্যরা। পরে এলাকাবাসী ও এসে দেয়াল চাপার মধ্য থেকে ৩ জন আহতকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় দমকল বাহিনী ও এলাকাবাসী তাহসিন নামে দেড় বছরের এক শিশুর দগ্ধ হওয়া লাশ উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষগুলোতে জ্যাম হয়ে ছিল। সকালে রান্নার জন্যে মৌসুমি চুলা জ্বালাতে গেলে আগুন ধরে যায়। এসময় বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনটি ধ্বসে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস। ঘটনায় দগ্ধ হয়ে তাহসিন নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। মৌসুমি নামে এক নারী দগ্ধ হয়েছে। এছাড়াও আরো ৩ জন দেয়াল চাপায় আহাত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের জোন কমান্ডার আনোয়ারুল হক জানান, গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণের কারণে ভবনটি ধসে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
আশুলিয়া থনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ‘গ্যাস লাইনের চুলার চাবি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ও দুর্বল অবকাঠামোর কারণে বিল্ডিংটি ধসে পড়েছে। তবে ঘটনা তদন্তে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দল আসছে।