Sun. Jun 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪, বৃহস্পতিবার , ০৪জুলাই,২০১৯ঃ রাজধানীর সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাটের পর এবার পুরান ঢাকার পাতলা খান লেন, সদরঘাট ও মিরপুরের কাজপাড়া এলাকার ওয়াসার পানিতেও পাওয়া গেলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও দূষিত পদার্থ। এসব এলাকার পানিতে ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া, আর্সেনিক ও মলের জীবাণু পাওয়ার কথা জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

আগামী রোববার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হবে। এদিকে, ব্যর্থতার দায়ে ওয়াসার কর্তাব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

ময়লা আর দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে রীতিমতো নাকাল রাজধানীবাসীর জনজীবন। দিনে দিনে জমেছে ক্ষোভ আর অভিযোগ পাহাড়। এ নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ তো নেয়া হয়নি। বরং টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের পর ওয়াসার এমডি বলেছিলেন, তাদের সরবরাহ করা পানি শতভাগ সুপেয়।

‘ওয়াসার পানি একশত ভাগ সুপেয়’ ওয়াসার এমডির এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতেই সরবত বানিয়ে, তা এমডিকে খাওয়াতে গিয়েছিলেন পুরান ঢাকার বেশ কয়েকজন ক্ষুব্ধ বাসিন্দা। তার কয়েকদিন পরেই আদালতে ওয়াসার এমডি নিজেই স্বীকার করেন, ঢাকার ৫৯ এলাকার পানি মানহীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পানি পরীক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে।

অবশেষে ঢাকা ওয়াসার সংগৃহীত ৩৪ এলাকার ৮টিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও মলের অস্তিত্ব পেয়েছে আদালতের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই ব্যাকটেরিয়া রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে কমিটি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু বলেন, পানির মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, সেখানে আর্সেনিকের পরিমাণও বেশি। এছাড়া ক্লোরামিনস ও ব্যাকটেরিয়া মলও পাওয়া গেছে।

নিশ্চিত মৃত্যুর উপাদানযুক্ত এই পানির হাত থেকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। পাশাপাশি ব্যর্থতার দায়ে ওয়াসার কর্তাব্যক্তিদের বিচার চেয়েছেন তারা।

এলাকাবাসী বলেন, আমাদের শিশুরা যে পানি খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে, তাদের দায় তো নিতে হবে।

যেসব এলাকার পানিতে ইকোলা ব্যাকটরিয়া ও মল পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার পাতলা খান লেন, সদরঘাট, কাজীপাড়া, সায়েদবাদ ও চাঁদনীঘাট।