Sat. Jun 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, বৃহস্পতিবার , ০৪জুলাই,২০১৯ঃ  রাজপরিবারের শান-শওকত, আভিজাত্য আর জৌলুশ ছেড়ে পালিয়েছেন দুবাইয়ের শাসকের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে হুসেইন। সঙ্গী করে নিয়ে গেছেন দুই সন্তানকে। জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থনা করে অবশেষে পাড়ি জমিয়েছেন লন্ডনে। সেখানেই এখন তিনি বাস করছেন লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনসের একটি টাউন হাউসে, যার মূল্য প্রায় ১০৭ মিলিয়ন ডলার।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ আল মাকতুমের সঙ্গে অক্সফোর্ড স্নাতক হায়ার বিয়ে হয়েছিল ২০০৪ সালে। ১৫ বছরের সংসারের ইতি টেনেছেন হায়া। হায়া জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ বোন। এই রাজকন্যা ছিলেন মাকতুমের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ স্ত্রী। মাকতুমের বয়স ৬৭ আর হায়ার বয়স ৪৫। বিভিন্ন স্ত্রীর ঘরে দুবাইয়ের এ শাসকের ২৩ সন্তান রয়েছে।

হায়ার সংসার ছাড়ার খবরটি কয়েক দিন ধরেই বিশ্ব মিডিয়ায় ঘুরছে। একজন শাসকের স্ত্রী তার স্বামীকে ফেলে পালিয়েছেন এটি মিডিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পাশাপাশি প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠেছে প্রিন্সেস হায়া কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন?

জীবন বাঁচাতেই নাকি হায়া মাকতুমকে ছেড়ে পালিয়েছেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, প্রিন্সেস হায়া সম্প্রতি তার স্বামীর এক কন্যা শেখ লতিফার দুবাই থেকে পালিয়ে আবার রহস্যজনক ফিরে আসার পেছনে গোপন কিছু বিষয় জেনে যান। শেখ লতিফা এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সাগরপথে পালিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় উপকূলে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের বাধা দেয় ও পরে দুবাইয়ে ফিরিয়ে দেয়।

দুবাই কর্তৃপক্ষ বলছে, শেখ লতিফা এখন দুবাইতে নিরাপদে আছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুবাইয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রিন্সেস হায়া তখন আইরিশ প্রেসিডেন্ট ম্যারি রবিনসনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এর পর প্রিন্সেস হায়া কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। এ নিয়ে তার স্বামীর পরিবার থেকে চাপ আসতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। তিনিও অপহরণের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছিলেন। যদিও লন্ডনে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

৬৯ বছর বয়সী মাকতুম একজন বিলিয়নিয়ার। তিনি প্রিন্সেস হায়াকে ছাড়তে চান না। ক্ষুব্ধ মাকতুম ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি কবিতা পোস্ট করেছেন; যেখানে তিনি হায়াকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য দায়ী করেছেন। প্রতারক বলেও দাবি করেছেন।