Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার,০৯জুলাই,২০১৯ঃ আজকের গল্প টা কোন লাভ স্টরি নয় বন্ধুদের গল্প, দুই বন্ধু,যারা একসময় খুব ভাল বন্ধু ছিল , সবাই বলে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে কখন খুব ভাল বন্ধু থাকতে পারে না বেশি দিন। কিন্তু এই কথা ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছিল দুইজন বন্ধু “জ আর রে” (সংকেতিক নাম)।
“জ আর রে” খুব ভাল বন্ধু বেশ কিছু দিন যাবোত। সবাই ওদের ঘনিষ্ট সম্পক দেখে বলত ওদের মধ্যে বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু আছে। কিন্তু ওরা দুজন জানত ওরা একে অন্যের কি তাই “রে” সব সময় “জ” কে বলত শুন লোকে যাই বলোক না কেনো বলতে দে আমরা ত জানি আমরা কি আর শুন এটা দুনিয়া কে দেখিয়ে দেব আমি যে একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারে!
“রে” “জ “কে খুব ভালবাসত বন্ধু হিসাবে ওর এমন কোন কথা নেই যা “জ” যানে না, “জ” র সাথে ও সব সেয়ার করত “রে” । ভালই চলছিল ওদের বন্ধুত্ব কিন্তু মাঝে মাঝে ভাল জিনিসে ও নজর গেলে যায় ওদের ভেলায়ও তাই হয়েছিল।
“জ ” একটু বেশি কেয়ার নিচ্ছছিল “রে” এর , আগে ও নিত কিন্তু দিন দিন যেন এর ব্যাপকতা বাড়ছিল,”জ ” যেন ওর দুনিয়া হয়ে বসে আছে,একটু কিছু বললে”জ ” র অনেক বেশি লাগত। তাই তখন থেকেই ইভা “জ ” থেকে একটু একটু দূর দূর থাকতে শুরু করে দেয় “রে”! কারন “রে” “জ “কে শুধু বন্ধুর চোখে দেখত আর কিছু কল্পনা ও করতে পারি নি!  “রে” বুঝতে পারছিল “জ “র বন্ধুত্বটা ধীরে ধীরে ভালবাসায় পরিবর্ত হচ্ছে কিন্তু “রে” কখনো চায় নি তার বন্ধুটিকে হারাতে।তাই সব কিছু বুঝেও বন্ধুত্ব টিকেয়ে রাখে “রে”।
ধীরে ধীরে ওদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায় কিন্তু এটা “জ ” কখন মেনে নিতে পারে নি তাই প্রতিদিন “রে”র সাথে ঝগড়া করত “জ “।
“রে” কখনো “জ ” কে ইগনোর করতে চায় নি কিন্তু ওভি ওর জীবনে আসার পর রনির সাথে সাথে ওভির সাথেও ফেইসবুকে চাট হত ইভার যার জন্য মেজেজ দিতে একটু লেইট হত যা সয্য করতে পারত না “জ “।এসব জিনিস নিয়ে ওদের মধ্যে প্রতিদিনই ঝগড়া হত। আর শেষের দিকে”রে” ইচ্ছা করে “জ ” কে কষ্ট দিত অনেক কথা শুনাত কিন্তু এসব করে “রে” খুব খুশি হত না যেমন “জ ” কান্না করত “রে”ও কান্না করত হয়ত যেটা কেউ দেখে নি বা বুঝে নি।”রে” “জ “কে এই জন্য কষ্ট দিত যাতে “জ ” ওকে ঘৃনা করে “রে” কিন্তু “জ ”  ছাড়া বাঁচতে পারেনা।
কিছুদিন পর
“রে” একদিন মেজেজ করল “জ ” কে
-সরি “জ ” যা হয়েছে ভুলে যা না সব কিছু।চল আগের মত আমার বন্ধু হয়ে যা।
-হুম আমাকে ও মাফ করে দে আমিও তুকে অনেক কিছু বলেছি। চল সব বাদ দিয়ে আমার আগের “রে” হয়ে যাই।
– হে তুর আগের “রে” ই আছি, আচ্ছা বাদ দে এসব শুন তুকে কিছু বলার ছিল কিন্তু কি করে বলব বুঝতে পারতেছি না।
– বল কি বলবি, আমাকে বলতে দিদাবুধ করছিস কেনো।
– হে মানে “জ ” আমি না তোকেকে খুব ভালবাসে পেলেছি।
এর পর থেকে “রে” আর মেজেজ দিলেও “জ ” আর কোন উওর দেয় না কোন কথা বলে না। “রে” ভেবেছিল সত্যি মনে হয় “জ ” টিক হয়ে গিয়েছে “জ ” সবই মেনে নিয়েছে কিন্তু না “জ ” এটা কোন দিন মানেই নি বরং সব কিছুর কারনে বন্ধুত্বটা ও শেষ করে দিয়েছে।”রে”র খুব কষ্ট হয় যখন মনে হয় এই “জ ” সব সময় বলত যাই হোক না কেনো বন্ধুত্ব চিরদিনের কোন দিন শেষ হবে না আজ কোন খবরই নেয় না “জ ” ওর। “রে” খুব সুখীই আছে  …কে নিয়।
তবুও “জ ” খুব মিস করে “রে”কে কারন বন্ধুদের জায়গা আলাদা আর ভালবাসার মানুষদের জায়গা আলাদা কেউ কারো জায়গা নেয় না। এখানে “রে”র দুষ ছিল না “জ ” র দুষ ছিল বলতে পারব না হয়ত কারো দুষ ছিল না বা হয়ত দুজনেরি দূষ ছিল বা কারোই ছিল না।।

কিন্তু সত্যি ভালবাসা ও বন্ধুত্ব জিনিস টা যেমন জীবন গড়তে পারে তেমনি ভাঙতেও পারে!