
কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ঘটনায় শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ার। এরমধ্যে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ২৯ জুন একটি অডিও ফাঁস হয়। যেখানে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে প্রভাষক পদে আরিফ নামে এক আবেদনকারীকে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথপোকথন রয়েছে।
এ ঘটনায় এরইমধ্যে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলছেন, যেই হোক না কেন এই ধরনের নৈতিক স্খলনের সাথে জড়িত তা আর্থিক হোক চারিত্রিক হোক, বা একাডেমিক করাপসন হোক এই তিন ধরনের করাপসনের সাথে জড়িত কেউ শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। আমি মনে করি এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে যত শক্তিশালী ব্যাক্তিই হোক না কেন তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ আসকারী বলেন, তাৎক্ষনিক ভাবে ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং পরের দিন যে সিন্ডিকেট ছিলো সেই সিন্ডিকেটের আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সেটা বের করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরো দুঃখজনক ঘটনা এর আগের সিন্ডিকেটেও দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অডিও ফাসের ঘটনায় কঠোর শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। আমি মনে করি আমরা একদিকে যেমন কঠোরতম শান্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে সেই সাথে অন্যদিকে মোটিভিশনেরও দরকার আছে যে কেন শিক্ষকরা এই ধরনের অনাকাঙ্খীত ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে।
শিক্ষার্থীরা বলছে, এ ধরণের ঘটনা শিক্ষকতার মতো মহৎ পেশায় মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করবে। এ ধরনের অনিয়ম রোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হবার আহ্বান জানান তারা।