
খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,১১জুলাই,২০১৯ঃ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সরাসরি বাধা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের প্রিয়নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার নীলনকশা তৈরি করেছে সরকার। তাঁকে মিথ্যা মামলায় ক্ষমতার মত্ততায় দেড় বছর বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁর জামিনে এখন সরাসরি বাধা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আদালতে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি দেশনেত্রীর আইনজীবীদেরও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধা দেয়া হচ্ছে। দেশনেত্রীর ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে দেয়া হচ্ছে না।’
বুধবার (১০জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘নিশিরাতে ভোট ডাকাতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এখন ভোট ডাকাত সরকারের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার ন্যূনতম অধিকার নেই। সারা দেশের ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের ভোটাধিকার দস্যুবৃত্তির দ্বারা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
এখন জবরদখলকারী দস্যুরাই দেশ শাসন করছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ তাদের ক্ষমতা ফিরে পাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে দেশের মালিক জনগণকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বর্তমান ধিকৃত আগ্রাসী সরকার। ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা, সন্ত্রাস ও হিংস্রতা দিয়ে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা বদলের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তখন জনরোষে, দুর্বার আন্দোলনের মুখে এই সরকারের পতন ইতিহাসের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘গোটা দেশের মানুষ যখন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিস্ফোরোন্মুখ হয়ে আছে তখন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে রীতিমত রসিকতা করছেন।
উনার ভাবখানা এরকম যে, ‘গ্যাসের দাম বাড়লেই বা কি বা ভ্যাটের পরিমাণ বা ইনকাম ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়লেই বা কি! আমরা তো জনগণের ভোটে ক্ষমতার মসনদে বসি নাই! ভোট ডাকাতিতে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের পকেট ভারি করতে সব কিছু করবো’।’
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে দেশে ফিরে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানে তিনি বলেছেন ‘উন্নয়ন পেতে হলে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিতে হবে। এখন যে পরিমাণে দাম বাড়ানো হয়েছে, তারপরও বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিতে হবে’।
বাস্তবতা হলো- উন্নয়ন উন্নয়ন শুনতে শুনতে দেশের জনগণ ক্লান্ত ও মূমুর্ষ হয়ে পড়েছে। সরকারের উন্নয়ন বুলির আড়ালে লুটপাটের মহোৎসবের কাহিনি মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। উন্নয়নের কথা বলে জনগণের পকেট কেটে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের আর ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতাকারীদের পকেট ভারি করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান ও নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।