
খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,১১জুলাই,২০১৯ঃ গত কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানের সরকারি দফতরগুলোতে যৌন হয়রানি খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। দেশটির সরকারি অফিসগুলোতে এখন এটা যেন এক নতুন সংস্কৃতি।
এই যৌন হয়রানির সঙ্গে যুক্ত সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে প্রভাবশালী মহলের অনেকেই। বিবিসি’র এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে।
সম্প্রতি পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে যে, বিচারের জন্য যদি কেউ পুলিশ কিংবা আদালতের দ্বারস্থ হয় তবে তাদের আরো বেশি হেনস্তার শিকার হতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নারীর সাক্ষাতকার নিয়ে বিবিসি এ প্রতিবেদন তৈরি করে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী তার করুণ গল্প বিবিসিকে জানায়। তিনি রাজধানী কাবুলের খুবই কাছে এক সরকারি অফিসে চাকরি করতেন। তার বস ছিলেন একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। মন্ত্রী মহোদয় নিয়মিত ওই ভদ্র নারী যৌন হয়রানি করতেন। একদিন তিনি সরাসরি নারীকে সেক্সের প্রস্তাব দেয়। সেদিন তিনি অফিস ত্যাগ করেন এবং পরে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন।
কিন্তু যৌন হয়রানির শিকার ওই নারী কোন মামলা করেননি। কেননা তিনি জানতেন মামলা করলে তিনি নতুন করে ঝামেলায় পড়বেন। আর এতে তার সম্মানহানি হবে।
বিবিসি’র অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরো যে কঠিন সত্য বের হয়ে আসে তা হল, সরকারের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী আরো দুজন তার অধস্তন নারী চাকুরিজীবীকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু তারাও এ ধর্ষণের কথা চেপে যায়। কেননা সরকারের বিভিন্ন দফতরে যৌন হয়রানির ঘটনা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। বিচারের জন্য পুলিশের কাছে গেলে সেখানেও যৌন হয়রানির ভয় থাকে। আদালতেও ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।