
গ্রেফতারকৃত চারজন হল মৃদুল হাসান পাপ্পু (১৭), সাব্বির আহমেদ (১৬), রাব্বু হোসেন রিয়াদ (১৬), নূর মোহাম্মদ রনি (১৬)। সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মৃদুল হাসান পাপ্পু জানিয়েছে, সে স্থানীয় ফিউচার ম্যাপ স্কুলের ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। গত ৬ মাস আগে খুন হওয়া শুভ ওই স্কুলে ভর্তি হয় এবং তার সাথে পরিচয় হয় । হত্যার ঘটার আগের দিন শিক্ষাসফরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় গ্রন্থাগার ও জাতীয় জাদুঘরে যায় তারা। শিক্ষাসফর শেষে ফেরার পথে পাপ্পু ও তার বান্ধবী একই সিটে বসলে শুভ মুঠোফোনে তাদের ছবি তোলে এবং অন্য সবাইকে দেখিয়ে ঠাট্টা করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাপ্পু শুভর সাথে ঝগড়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই জের ধরে পাপ্পু, সাব্বির, রাব্বু ও রনি তাদের গ্রুপের সদস্যকে নিয়ে ঠাট্টা-অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক রাত ১০টার পর কৌশলে নির্জন স্থানে শুভকে ডেকে নেয়। শুভকে ডেকে নিয়ে মারধর করার সময় সাব্বির ও রাব্বুর নিকটে থাকা সুইস গিয়ার চাকু দিয়ে বুকে, পিঠে ও মাথায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ওই অবস্থায় শুভ দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে পাপ্পু তাকে পেছন থেকে ধাওয়া করে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে শুভর মৃত্যু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।