খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার ,১৮জুলাই,২০১৯ঃ গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের মেধা, মনন ও জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং বিদেশে অর্জিত ডিগ্রি দেশের কাজে লাগান। কর্তব্যে অবহেলা করলে জনগণের আস্থা কমে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, রূপপুর প্রকল্পের একটি ঘটনা দিয়ে গোটা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার গণপূর্ত অধিদপ্তরের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী বলেন, কোন কোন জেলায় আমাদের প্রকৌশলীরা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়েন। যত দিন আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আছি, আমাদের একজন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো ক্ষমতা দেখিয়ে প্রভাবান্বিত বা হয়রানি করতে চাইলে আমাকে জানাবেন, আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াব। তিনি বলেন, ‘টেন্ডার এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কাজ শেষ না করে দ্রুত বিল দিতে হবে, জোরপূর্বক তার লোককে টেন্ডার দিতে বাধ্য করা হবে-এই প্রবণতা কোনোভাবেই নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং আমি নিজে এটাকে কোনোভাবে অনুমোদন করব না। আপনাদের ভীত সন্ত্রস্ত্র হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তাই সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। এর ভেতরে কিছু ব্যত্যয়ও ঘটেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘটনা আমাদের ইমেজকে ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি সবখানেই বলি রূপপুর প্রকল্পের একটি ঘটনা দিয়ে গোটা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। অনেক সময় কেউ কেউ অতি লোভী হয়ে গোটা ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি ধ্বংস করার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন।
মন্ত্রী প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তত ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু একবারের জন্যও তিনি শঙ্কিত হয়ে আমাদের অধিকার প্রশ্নে ছাড় দেননি। কর্তব্য পালনে আমি চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। অনিয়মের পরিসর থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনারা মর্যাদাপূর্ণ পদ পান, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পান, বেতন-ভাতা পান। কোনোভাবেই যেন চিহ্নিত না হন যে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সঙ্গে আপনারা সম্পৃক্ত।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।