খােলাবাজার ২৪, শনিবার ,২০জুলাই,২০১৯ঃ বিশ্বকাপের পরই বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্টিভ রোডসকে। ইংলিশ এই কোচের বিদায়ের পর রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে নতুন কোচের সন্ধান করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে শ্রীলংকা সফরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। সাবেক এই অধিনায়ক এবং বিসিবির পরিচালকের পদে থাকা সুজনকে কোচ হিসেবে আগেও নিয়োগ দিয়েছিল বোর্ড, সেবার তার বিরুদ্ধে উঠেছিল স্বার্থসংঘাতের অভিযোগ। আরও একবার অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়ে সুজন এবার বললেন, ‘দলের সুবিধার্থেই স্থানীয় কোচদের বেশি করে সুযোগ করে দেওয়া উচিত। আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি, কতটুকু যোগ্য আমি জানি না।’
দীর্ঘ মেয়াদে কোচের দায়িত্ব পেলে বিসিবি পরিচালকের পদ ছেড়ে দেবেন, সেটা কিছুদিন আগেই বলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। কোচের পদের জন্য আবেদন করার শেষ দিন ছিল ১৮ জুলাই। ওই দিন পর্যন্ত বোর্ডের কাছে কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেননি সুজন।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য বললেন, নিজেকে কোচ হওয়ার মতো যোগ্য বলেই মনে করেন তিনি, ‘আমি মনে করি, একটা দলের কোচিং করানো কোনো রকেট সায়েন্স নয়। সবাই বলে যে, লেভেল ৩-৪ করা, আমরাও লেভেল ৩ করেছি ২০০৬-০৭ সালে। আর করার পর যে আমরা বসে ছিলাম, এমনটা না। মাঠে কাজ করেছি। আমি মনে করি, যেহেতু আমি এদেশে বড় হয়েছি, এই ছেলেদের সঙ্গে খেলেছি বা মাঠে গিয়েছি, তাই আমার জন্য পরিকল্পনা করা আরও সহজ হবে। এই কারণে একেকজনের মানসিকতা আসলে দ্রুত বুঝতে পারি। এটি মানসিক একটি খেলা বলে আমি মনে করি। কারণ একজন মানুষ ১১ জন মানুষকে এক করে, একটি টিম স্পিরিট তৈরি করে ম্যাচ জেতানোর একটা ব্যাপার থাকে। আমি মনে করি সেটা আমি পারি।’
স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়োগ দিলে দলের ক্রিকেটাররাও তাদের সঙ্গে অনেক স্বচ্ছন্দ থাকতে পারেন বলে মনে করেন বিপিএলের দল ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ সুজন, ‘বিদেশি কোচ এলে যেটা হয়, ভাষার ক্ষেত্রে একটা দূরত্ব কিন্তু থেকেই যায়। কারণ আপনি যখনই কথাগুলো অনুবাদ করেন, সেটা ঠিকমতো হয় কি-না সেটাও একটা বড় ব্যাপার।’