
শুক্রবার জানা গিয়েছে, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়নি ওই শিশুর। ওই শিশুর মা তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুজফফরপুরের পুলিশ প্রশাসনের দাবি, শিশুটির মা-ও সে রকমই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। শুধু অর্জুন নয়, ওই মহিলার আরও দুই সন্তান রাজা ও জ্যোতিও পানিতে ডুবে নিখোঁজ।
মুজফফরপুরের জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি, বন্যার জলে ভেসে গিয়ে মৃত্যু নয়, অর্জুনের মা তাকে হত্যা করেছে।
মুজফ্ফরপুরের জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মুজফফরপুরে হলেও এর সঙ্গে বন্যার কোনও যোগ নেই।
জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই মহিলার নাম রিনা দেবী। বুধবার (১৭ জুলাই) স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি নিজের চার সন্তানকেই নদীর ধারে নিয়ে যান। চার শিশুকেই কার্যত পানিতে ছুঁড়ে দিয়ে নিজেও ঝাঁপ দেন রিনা দেবী। স্থানীয়রা ওই মহিলা এবং তার সাত বছরের মেয়ে রাধাকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ ছিল। পরে অর্জুনের দেহ উদ্ধার হলেও এখনো অন্য দুই শিশুর খোঁজ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়ায়, বন্যায় ফুলে ফেঁপে ওঠা বাগমতী নদীতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল অর্জুন। এবং সেই কারণেই পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।