
চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম অবতরণের ৫০ বছর পূর্তিতে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের আর্মষ্ট্রং এয়ার স্পেস এবং জাদুঘরের সামনে জড়ো হন শত শত মানুষ। অ্যাপোলো-১১ এর ঈগল মডিউলে করে চাঁদে পা রাখার সেই মুহুর্তক্ষণ উদযাপন করেন আগতরা। প্রজেক্টরে দেখানো হয় নীল আর্মষ্ট্রং এবং সহযাত্রী বাজ অলড্রিনের চাঁদে অবতরণের ঐতিহাসিক মুহুর্ত।
ডন থমাস বলেন, চাঁদে অবতরণের ৫০ বছর পূর্তিতে আনন্দ করার জন্য এখানে জড়ো হয়েছে অনেকে। নীল আর্মষ্ট্রং থেকে ভালো নভোচারী আপনি কোথাও পাওয়া যাবে না। আমার দেখায় সেই সেরা।
ফক্স নিউজে দেয়া সাক্ষাতকারে সেই অভিযানের তৃতীয় সদস্য মাইকেল কলিন্স শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দেন। তার কণ্ঠে ছিল রোমাঞ্চের সুর।
মাইকেল কলিন্স বলেন, যখন রাতের অন্ধকারে একা হেটে বেড়াই তখন হঠাত করে আমার কাঁধে কোন স্পর্শ অনুভব করি। তাকিয়ে দেখি কেউ না, চাঁদ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখন মনে হতে থাকে, আমি তো সেখান থেকেই ঘুরে এসেছি। সত্যি, এটি অসাধারণ মুহুর্ত।
এদিকে, চন্দ্রযানের ৫০ বছর পূর্তিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভ্রমণে যান অর্ধশত মানুষ। শনিবার কাজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে ‘সয়েজ- এম.এস-থার্টিন’ মহাকাশযানে করে তারা সেখানে পৌঁছান।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই নীল আর্মষ্ট্রংয়ের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে চাঁদে পা রাখেন বাজ অলড্রিন। তারা দু’জনই মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার অ্যাপোলা-১১ চন্দ্রযানে করে চাঁদের বুকে অবতরণ করেন। সাদা-কালো ভিডিওতে দেখা যায়, ২১ ঘণ্টারও বেশি সময় দুই নভোচারী চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটে বেড়ান। ঐতিহাসিক সেই অভিযাত্রায় কক্ষপথে কমান্ড মডিউলের দায়িত্বে থাকায়, মাইকেল কলিন্সের চাঁদে নামা হয়নি। আর ওই অভিযানের পরই অবসান হয় চাঁদ নিয়ে মানুষের প্রাগৈতিহাসিক কালের সব কল্পনার।