Sat. Jun 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, সোমবার ,২২জুলাই,২০১৯ঃ কফি খাওয়া নিয়ে অনেকে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পোষণ করেন। কিন্তু গবেষণায় উঠে এসেছে কফির সঙ্গে ক্যান্সারের কোন যোগ নেই। বরং স্তন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় কফি।

কিউআইএমআর-এর গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৩ লাখ মানুষ প্রতিদিন কফি পান করার পরও তাদের ক্যান্সারের সঙ্গে কোন সম্পর্ক ঘটেনি বা তাদের দেহে ক্যান্সারের আলামত দেখা যায়নি। সম্প্রতি এপিডেমিওলজি নামের আন্তর্জাতিক জার্নালে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকরা বলেছেন, কফি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। কিন্তু এই কফি নিয়ে ক্যান্সারের সঙ্গে নানা মিশ্র ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন গবেষণার পর তাদের দাবি, ‘আপনি দিনে যত কাপই কফি পান করুন না কেন, তার সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।’

গবেষকরা আরও বলেছেন, কফি দেহের সতেজতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রাও বাড়ায়।

গবেষণায় ভিত্তিতে কফি যেসব ক্যান্সারের বেলায় উপকার বয়ে আনে তা জেনে নেই :

ত্বকে মেলানোমা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় :

কফি ২০% পর্যন্ত মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারে। গবেষকরা ১০ বছর ধরে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫৭ জন মানুষের স্বাস্থ্য ও ডায়েটিং তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, অধিক মাত্রায় কফি পান করার সঙ্গে ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাওয়ার বিষয়টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

কোলন ক্যান্সারের প্রতিবন্ধক :

কফি সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে কোলন ক্যান্সারের। ২০১৪ সালে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ ইসরাইলী নাগরিকের ওপর গবেষণা করে জানা গেছে, প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপের কাছাকাছি কফি গ্রহণ করলে কোলন ক্যানসার হবার ঝুঁকি প্রায় ৩০% কমে যায়।

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে :

স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও দারুন কার্যকরী হলো কফি। গবেষকরা ৬ হাজারের বেশি পোস্টমেনোপজাল নারীদের স্বাস্থ্য ও ডায়েট তথ্য নিয়ে সমীক্ষা করেছেন। তারা দেখেছেন, যেসব নারীরা দিনে কমপক্ষে পাঁচ কাপ করে কফি পান করেন তাদের ৫৭% ঝুঁকি কমে যায় হরমোন-রিসেপটর-নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যান্সারের।

প্রস্টেট ক্যান্সারের অগ্রগতি প্রতিরোধ করে :

প্রস্টেট ক্যানসারের (মূত্রথলি) ক্ষেত্রেও কফির উপকারিতা প্রযোজ্য। ২০১৩ সালের একটি গবেষণাতে দেখা যায়, যারা দিনে চার কাপের বেশি কফি খান তাদের প্রস্টেট ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি এবং অগ্রগতির ঝুঁকি কমায় প্রায় ৫৯%।

এই গবেষণা করা হয়েছিল সেসব পরিবারের ওপর যাদের ক্যান্সার থেকে লড়াই করে বাঁচারও ইতিহাস রয়েছে।