খােলাবাজার ২৪, সোমবার ,২২জুলাই,২০১৯ঃ রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে এক নারী হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাতে জাফর, শাহীন, বাপ্পী নামের এ তিন জনকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তাছলিমা বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। স্কুলের সামনের গেইটে অভিভাবকরা তাঁর কাছে ভেতরে যাওয়ার কারণ জানতে চান। তাছলিমা জানান, তাঁর সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করবেন। এ সময় অভিভাবকদের কাছে তাঁর কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাঁকে ধরে প্রধান শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।
এদিকে স্কুলে ছেলেধরা এসেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বাঁশের ভিড় করেন। কিছুক্ষণ পর তাছলিমা প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জড়ো হওয়া লোকজন তাঁকে ধরে স্কুলের সামনেই পিটুনি দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি নিথর হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ হত্যার ঘটনার পরে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে তার ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে বাড্ডা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভাইরাল হওয়া হৃদয় নামের অভিযুক্ত একজনকে এখনও আটক করা যায়নি।’
উল্লেখ্য, আড়াই বছর আগে তাছলিমা বেগম রেনুর সঙ্গে তাঁর স্বামীর তালাক হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর ১১ বছরের একটি ছেলে ও চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলে তাঁর স্বামীর কাছে থাকে। আর মেয়েটি থাকে তাঁর সঙ্গে।