
জামালপুরে পানি কমায় বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বানভাসি মানুষ। গত এক সপ্তাহের বন্যায় জেলার ২৮ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও সবজিক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের সেবায় কাজ শুরু করছে স্বাস্থ্য বিভাগের ৬১টি মেডিকেল টিম।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দি আছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে অভিযোগ বন্যার্তদের।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ৫ উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ। গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব।
এদিকে পদ্মার পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শরীয়তপুর ও ফরিদপুরে। রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়িঘরে পানি ওঠায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বন্যাকবলিতরা।