
হালকা মিষ্টি, লাল ও সাদা রঙের এ ফলটি আসলে দক্ষিণ আমেরিকা ও মেক্সিকোতে বেশি পাওয়া যায়। যা পরবর্তীতে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পরে।
উপকারিতা : ড্রাগন ফলে আছে প্রোটিন, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, দ্রবণীয় আঁশ, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ ও চিনি। এ ছাড়াও রয়েছে কিছু উপকারী পুষ্টি গুণ।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল রক্তে হিমোগ্লোবিন ও প্লেটলেটের সংখ্যা বৃৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ফলের ভিটামিন ‘সি’ জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। পাশাপাশি এতে থাকা আয়রন, ফসফরাস, লাইকোপেন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
ডায়বেটিস কমায় : নিয়মিত অল্প পরিমাণ ড্রাগন ফল খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এতে করে টাইপ-২ ডায়বেটিস দেখা দেয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। ২০১৭ সালের একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, যারা ড্রাগন ফল নিয়মিত গ্রহণ করেছেন তাদের রক্তে প্রি-ডায়বেটিক লক্ষণসমূহ তুলনামূলক কম দেখা গেছে, যারা গ্রহণ করেননি তাদের চেয়ে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : এতে আছে ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গবেষণা বলছে, লাল ও সাদা উভয় ড্রাগন ফলেই রয়েছে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভনয়েড, যা ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে : ফুড ক্যামিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ড্রাগন ফল পাকস্থলিতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলি ও বাইফিডোব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই ফলে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ বাওয়েল মুভমেন্টকে নির্বিঘ্ন রাখতে এবং খাদ্য ভালোভাবে পরিপাক হতে কাজ করে।
সুস্থ চোখ : ড্রাগন ফল সাইটোক্রোম নামক প্রোটিন তৈরি করে। ফুড ক্যামিস্ট্রি জার্নালে প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, এতে থাকা বেটা-ক্যারোটিন চোখকে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
হাড় ও দাঁত শক্ত করে : ড্রাগন ফলে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে হাড় ও দাঁত শক্ত ও সুস্থ থাকে