অথচ বাংলাদেশের সুযোগ ছিল শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখা। প্রায় তিন বছর পর বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে প্রত্যাবর্তনটা ভীষণ স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন শফিউল ইসলামের। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দারুণ এক বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দিলেন লঙ্কান ওপেনার অভিষ্কা ফার্নান্দোকে। ১০ রানে প্রথম উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কাকে আরও চাপে রাখা। সুযোগটা পাওয়ার প্লেতে কাজে লাগাতে পারেনি তামিম ইকবালের দল।
দ্বাদশ ওভারে শফিউলই আরেকটা ব্রেক থ্রু দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। এ যাত্রা কুশল পেরেরা বেঁচে গেছেন রিভিউ নিয়ে। কুশল-দিমুথ করুণারত্নে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছে ৯৭ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচে পরিণত করে করুণারত্নেকে ৩৬ রানে ফিরিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। করুণারত্নে ফিরলেও কুশল সেঞ্চুরি করতে ভুল করেননি। শ্রীলঙ্কান ওপেনারকে ফেরাতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো বিশেষজ্ঞ বোলার, ফিরিয়েছেন খণ্ডকালীন পেসার সৌম্য সরকার। দুই ‘কুশল’—পেরেরা আর মেন্ডিসের তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসেছে ১০০ রান।
লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের দাপটে যখন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবালের কপালে চিন্তার ভাঁজ, তখন তাঁর মুখে হাসি ফুটিয়েছেন সৌম্য আর রুবেল হোসেন। সৌম্য পেরেরাকে আউট করার পরই রুবেলের শিকার হয়েছেন মেন্ডিস। ৪৩ রান করা মেন্ডিস ফিরতে পারতেন ২৮ রানে যদি সৌম্যর বলে লং অনে মাহমুদউল্লাহ ক্যাচটা ধরতে পারতেন। শ্রীলঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান চাইলে আরও কিছুক্ষণ উইকেটে কাটিয়ে যেতে পারতেন। রুবেলের যে বলে তিনি মুশফিকের কট বিহাইন্ড হয়েছেন, সেটিতে বাংলাদেশের কোনো জোরালো আবেদন ছিল না। ক্রিকেটীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মেন্ডিস নিজেই ড্রেসিংরুমে হাঁটা দিয়েছেন।
ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে তামিমের অভিষেকটা এখন পর্যন্ত বলার মতো কিছু হয়নি। মাঠে যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং, দু পায়ের ফাঁক দিয়ে বল বেরিয়ে চার, মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়রের ক্যাচ ফেলা…এসব তো আছেই। এর সঙ্গে শুরুতেই হাস্যকর এক রিভিউ। শ্রীলঙ্কা রানের পাহাড় চাপিয়ে দিলে সেই চ্যালেঞ্জটাও সামলাতে হবে ব্যাটসম্যান তামিমকে।