
সরেজমিনে দেখা গেছে, হারাগাছ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বানুপাড়া এলাকার মৃত হাছেন আলীর পুত্র আজিজুল ইসলাম দুলাল নিজ বাড়িতে বড় করেছেন এই গরুটি। তিনি হারাগাছ মডেল কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন একটি ছোট্র খামার। সেই খামারে বড় হওয়া গরুটি এবার কোরবানীর হাটের বড় অনুসঙ্গ।
আজিজুল ইসলাম দুলাল জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য বছর পাঁচেক আগে রংপুরের লালবাগ হাট থেকে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি গাভি ক্রয় করি। সেই গাভি থেকে প্রথম দুই বছরে ২টি বাছুর হলেও সেটি তারা মারা যায়। এতে পুরো পরিবারেই শোক নেমে আসে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের শেস সপ্তাহের এক সোমবার ওই গাভিটি থেকে জন্ম হয় একটি নুদনুদে বকনা বাছুরের। সোমবার জন্ম হওয়ার কারণে আমার মেয়ে আতিয়া আজিজা সেটির নাম দেয় সম্রাট। সেদিন থেকেই সম্রাট নামে বড় হতে থাকে গরুটি। এখন সম্রাটের বয়স আড়াই বছর পার হয়েছে। গরুটিকে বড় করতে প্রতিদিনই প্রায় ৬০০ টাকা করে খরচ করতে হয়েছে আমাকে। গরুটির পরিচর্যা আমি, আমার মেয়ে ও স্ত্রী গোলাপি বেগম ছাড়াও একজন কেয়ার টেকার করছি। কালো রংয়ের এই গরুটির বুকের ব্যাস ৯৬ ইঞ্চি এবং লম্বা ৭৭ ইঞ্চি। যা থেকে প্রায় ৩০ মন গোশত হওয়ার কথা।
গণিতের এই শিক্ষক জানান, প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে আমি গরুটি বিক্রি করার জন্য প্রচারণা চালাই। দাম হাঁকিয়েছি সাড় ৯ লাখ টাকা। চিটাগাং, খুলনা, ঢাকা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানের প্রায় ২২-২২জন ব্যক্তি পর্যায়ে ও ব্যবসায়ী এ পর্যন্ত গরুটি কেনার জন্য আমার বাসায় এসে দেখেছেন। এখন পর্যন্ত চিটাগাংয়ের এক ব্যবসায়ি সাড়ে ৬ লাখ টাকা দাম করেছেন। কিন্তু গরুটি বড় করতে এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে আমার সাড়ে ৫ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। সেকারণে আমি ন্যায্য দামের অপেক্ষায় আছি।
গরুর মালিক আজিজুল ইসলাম দুলালের কন্যা আব্দুর রহমান দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেনির ছাত্রী আতিয়া আজিজা জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি যখনই সময় পেয়েছি, তখনই গরুর পরিচর্যা করেছি। সম্রাটের সাথে খুব মায়া জমে গেছে। আশা করি আমাদের কষ্টের সঠিক মুল্য আমরা পাবো।