খোলাবাজার ২৪,শনিবার ,২৭জুলাই,২০১৯ঃ জামাল উদ্দিন স্বপন,কুমিল্লা প্রতিনিধি: নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুইপার/পরিচ্ছন্নতাকর্মী জাকির হোসেন হাসপাতালের পরিচ্ছনার দায়িত্ব বাদ দিয়ে জরুরী বিভাগের ছোট-খাটো কাটা-ছেঁড়া সেলাই করা, ড্রেসিং করা, বিষ খাওয়া রোগীদের ওয়াশ করা, ইনজেকশান দেয়া, ক্যানোলা লাগানো থেকে শুরু করে সব রকমের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে ডাক্তারের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জরুরী বিভাগের সেকমোদের এ কাজগুলো করার কথা থাকলেও সেকমোরা চেয়ারে ডাক্তার সেজে বসে থেকে জাকিরের মাধ্যমেই এ কাজগুলো করে নিচ্ছেন। সেকমোরা রোগীদের প্রাথমিক এ কাজগুলোতে কখনো হাত দেন না। জাকির এ কাজগুলো করার সুযোগে রোগীদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। এতে করে প্রতিদিন সে রোগীদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন কয়েক হাজার টাকা । রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা কম টাকা দিলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহারও করতে দেখা যায়। জাকিরের টাকা নিয়ে রোগীদের প্রাথমিক সেবা দেয়ার বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেব দাস দেবের কাছের লোক হওয়ায় জাকির ওনার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিয়মিত ছবি তোলার ফটোগ্রাফারেরও দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় ১০বছর থেকে এ হাসপাতালে কাজ করার সুবাদে সর্বত্র তার দাপট পরিলক্ষিত হয়। জাকির হোসেন সবার চোখের সামনে জরুরী বিভাগে টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য সেবার দায়িত্ব পালন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ নির্বিকার থাকতে দেখা যায়।
জাকির হোসেন জরুরী বিভাগে ব্যস্ত থাকায় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাথরুমগুলোতে বেহাল অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। বাথরুমগুলো অপরিষ্কার, দুর্গন্ধ, বাথরুমের সামনে পানিতে সয়লাব থাকতে দেখা যায়। রোগীদের নাক বন্ধ করে বাথরুমে ঢুকতে হয়। এছাড়া ওয়ার্ডগুলোর মেঝেও সব-সময় অপরিষ্কার থাকতে দেখা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেবদাস দেব কে একাদিক বার কল করে পাওয়া যায়নি।