
শুধু ইমরান খানই নয় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসারাম এবং গুরমীত রাম রহিম সিংহ। বিজেপির সদস্য হিসাবে ইমরান খানের ডিজিটাল পরিচয়পত্র বেশ ক’দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। যেখানে পরিষ্কার তার নাম এবং দেশ লেখা।
ইন্টারনেটে ভাসতে ভাসতে সে পরিচয়পত্র আমদাবাদ শহরে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কমলেশ পটেলের মোবাইলে এসেও পৌঁছয়। বিজেপি সদস্য হিসাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর নাম দেখে তাজ্জব হয়ে যান তিনি। পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন এই নেতা।
তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, আমদাবাদেরই বাসিন্দা গুলাম ফরিদ শেখ নামে এক ব্যক্তি এই কাণ্ড করেছে। তার মোবাইল থেকেই প্রথম এই ছবিগুলো একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয়। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ফরিদ শেখ নিজেও বিজেপির সদস্য হিসাবে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন। তারপর নিজের ফোন থেকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, আসারাম এবং রাম রহিম সিংহকেও সদস্য হিসাবে অনলাইন রেজিস্টার করিয়ে দেন। অনলাইন রেজিস্টার করালে একটা ভার্চুয়াল মেম্বার কার্ড তৈরি হয়। সেই মেম্বার কার্ডের ছবিই তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
আটক ওই ব্যক্তি মজার ছলে এই কাজ করেছেন নাকি এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
তবে বিজেপির বদনাম করার জন্যই ফরিদ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ছবি শেয়ার করেছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা কমলেশ পটেল।