
হাসপাতালের বিছানায় জ্বরে কাপছেন কাবাডির মুসলিমা খাতুন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার ঠিকানা এখন বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল। রাজধানীর আরো কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বৃষ্টি, হাবিবা, সুমাইয়া ও আসমা। ডিসেম্বরে নেপালে হবে সাউথ এশিয়ান গেমস। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে এস এ গেমসে পদক জয়ের আশায় সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আবাসিক ক্যাম্পে ছিলেন এই ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু ডেঙ্গুর ছোবলে এখন প্রাণ বাঁচানোই দায় তাদের।
সারা দেশেই জেঁকে বসেছে ডেঙ্গু। এস এ গেমসের আগে অনুশীলন ক্যাম্পেও তা ছড়িয়ে পড়ায় হতাশ ক্রীড়াবিদরা। তবে, দ্রুতই সুস্থ হয়ে আবারো মাঠে ফেরার স্বপ্ন তাদের।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন এই চিকিৎসক।
চিকিৎসক মোহাইমেনুল ইসলাম বলেন, যদি ট্রিটমেন্ট নেয়া হয় তবে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। ওদের প্লাটিলেটটা প্রতি ২৪ ঘণ্টা পরপর মনিটর হবে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন যদি মশা নিধনে আরো আগে সচেতন হত তবে, আক্রান্তের সংখ্যা এত বাড়ত না বলেই মনে করেন এই ফেডারেশন কর্তা। আবাসিক ক্যাম্পে আরো যারা আছেন তারা যেন নতুন করে আক্রান্ত না হন, সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সহসভাপতি এসএম হাবিবুর রহমান বলেন, এটা আমার কাছে মনে হয় ল্যাকিং এর ফলে হয়েছে, সচেতনতার অভাবে এমনটা হয়েছে।
এস এ গেমসের জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও মিরপুর ক্রীড়াপল্লীর আবাসিক ক্যাম্পে আছেন ৬৬৬ জন ক্রীড়াবিদ। তবে, ১৫ সেপ্টেম্বরের পর সেখান থেকে কমে যাবে ক্রীড়াবিদের সংখ্যা।