
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না কতজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এর আগে বলেছেন, এডিস মশা রোহিঙ্গাদের মতো। কত বড় অমানবিক হলে এই ধরনের কথা একজন মন্ত্রী বলতে পারেন।’
শরীরে ব্যথা হওয়ায় মির্জা ফখরুল নিজেও ডেঙ্গু হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়েছেন। তিনি বলেন, সবাই এখন আতঙ্কে আছে। বাংলাদেশে এত বড় কঠিন সময়ে আর কখনো আসেনি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এত অসহায় বোধ করিনি। তখন সামনে স্বপ্ন ছিল। একটা শক্তি ছিল। জনগণ ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে একটা ঐক্য ছিল।’ তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ হয়ে গেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এক-এগারোর মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ। রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া। সেই ধারাবাহিকতা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানকে পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী সংবিধান তৈরি করেছে। হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করা যাবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িত পেশাজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে ড্যাবের ভূমিকা অনেক বলে জানান মির্জা ফখরুল। ড্যাবের সদস্যসংখ্যা কমে গেছে জানিয়ে তিনি নতুন কোনো সদস্য নেওয়ার জন্য ড্যাব নেতাদের ভেবে দেখার আহ্বান জানান।
ড্যাব সভাপতি হারুন আল রশিদ সংগঠনটির নানা কার্যক্রম তুলে ধরেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, দেশে এখন নেইয়ের রাজত্বে চলছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ড্যাবের সাবেক মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, যাঁদের মশা নিধন করার কথা, তারা ঘুমিয়েছিলেন। তিনি বলেন, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতন করার জন্য সরকারের সবাইকে আহ্বান জানানো উচিত ছিল।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের মহাসচিব আবদুস সালাম, ড্যাব নেতা আবদুস সেলিম, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ওবায়দুল কবির খান প্রমুখ।