খােলাবাজার ২৪,সোমবার,০৫ আগস্ট ,২০১৯ঃ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় নার্গিস আক্তার (৪৫) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত নার্গিস আক্তার পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার হালদারখালী গ্রামের শাহ আলম মীরের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে নার্গিস আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেলা ১১টার সময় নার্গিস আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার ভোর পাঁচটার দিকে নার্গিস আক্তারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এসময় তার স্বজনেরা কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলাল হোসেনকে ডাকতে অনুরোধ করেন উপস্থিত নার্সদের। নার্সরা জানান- সকাল ১০টার আগে চিকিৎসক বেলাল হোসেন হাসপাতালে আসবেন না।
পরে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রোগীর আত্মীয় মোর্শেদা আক্তার চিকিৎসক বেলাল হোসেনকে মোবাইল ফোনে ফোন দেন। কয়েক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একপর্যায়ে সকাল সোয়া সাতটার দিকে নার্গিস আক্তার মারা যান। মারা যাওয়ার পর চিকিৎসক বেলাল হোসেন হাসপাতালে আসেন।
নার্গিস আক্তারের আত্মীয় মোর্শেদা আক্তার বলেন, নার্গিস আক্তার জ্বর নিয়ে ভর্তি হলেও চিকিৎসক তার ডেঙ্গু হয়েছে কি না সে জন্য কোন পরীক্ষা করাননি। ভোর পাঁচটার দিকে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসককে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় নার্গিস আক্তারের মৃত্যু হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলাল হোসেন বলেন, আমি রাতে বাসায় থাকি। ফোন করা হলে হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখি। আমাকে হাসপাতাল থেকে সকাল সাতটা আট মিনিটে ফোন দেয়া হয়েছিলো। এরপর আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে মৃত ঘোষণা করি। রোগীর স্বজনেরা বা নার্স ভোরে আমাকে ফোন দেননি। রোগী শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে ভর্তি হওয়ায় তার ডেঙ্গু আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, নিহত নার্গিস আক্তারের স্বজনেরা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।