Fri. Jun 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,সোমবার,০৫ আগস্ট ,২০১৯ঃ শিবপুর উপজেলাধীন পূর্ব খরিয়া গ্রামে বিএআরআই উদ্ভাবিত শিমের জাত অভিযোজন ও কৃষকের উদ্ভাবন উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং সাথী ফসল হিসেবে বেগুন গাছের উপর গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ প্রকল্প শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ আগষ্ট আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র,বিআর আই শিবপুর এর বাস্তবায়নে,চিনিশপুর দীপশিখা মহিলা সমিতির সহযোগীতায়,কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ফার্মগেট,ঢাকা এর কারীগরী ও আর্থিক সহায়তায় আয়োজিত মাঠ দিবসে আগত অতিথিবৃন্দ কৃষক বাহাউদ্দিন ও আব্দুল মান্নান এর গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক উদ্যান তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মশিউর রহমান। আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিডিএমএস এর নির্বাহী পরিচালক ছফুরা বেগম। বিএআর আই শিবপুর এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ.কে.এম আরিফুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের ট্রেনিং কাম ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট স্পেশালিষ্ট (সমন্বয় সেল) ও কৃষি বিজ্ঞানী ও সবজি বিশেষজ্ঞ মুকুল চন্দ্র রায়,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট (হর্টিকালচার) ড. শাহাবউদ্দিন আহমেদ,গ্রীষ্মকালীন শিম চাষী পূর্ব খড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান।উল্লেখ যে উক্ত প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল বেগুন গাছে রিলে ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালে বারি-৭,এস-১ ও এস-২ এবং শীতকালে বারি-১,বারি-৪ ও বারি ৬ জাতের উন্নতমানের শিম চাষে চাষীদের উৎসাহিত করা। সেই সাথে লাভ/লোকসান তুলনা করার জন্য একই জাতের শিম মাচায় চাষ করা। প্রকল্পের আরো একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হলো শিমের সাথী ফসল হিসেবে শীত গ্রীষ্ম উভয় ঋতুতে বারি-৮ ও বারি-১০ জাতের বেগুন চাষ। সভায় জানানো হয় সিডিএমএস এর উদ্দিপনায় উৎসাহিত হয়ে নরসিংদীর অনেক চাষী গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করছে। যারা গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছে তাদের মধ্যে অনেকেই আশাতিরিক্ত লাভবান হচ্ছে এবং তারা পরবর্তীতে আরো বেশী করে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। প্রধান অতিথি বলেন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে কৃষক পর্যায়ে সম্প্রাসারন করা এবং কৃষকদের অধিক লাভবান করা,যার প্রভাবে জাতিয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এবং কৃষি খাতে ব্যাপক সাড়া পড়বে।