
আতঙ্কের ডেঙ্গু যেন প্রতিনিয়তই দেখাচ্ছে তার ভয়ংকর রূপ। একদিকে যেমন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক তেমনি দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের তালিকাও। স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতাল। সোমবার ভোরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যান শারমিন আক্তার নামে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। শারমিনের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট শহরের শান্তিনগর এলাকায়।
অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮৩জন। একই সময়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩০৮জন রোগী।
মাদারীপুরের শিবচরে পোশাক শ্রমিক রিপন হাওলাদারের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার রাজধানী থেকে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়ি রাজারচর গ্রামে যান তিনি। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লার কাটানিসা গ্রামে আনোয়ার হোসেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় সে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাদিজা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়লেও ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট সংকটের অভিযোগ রয়েছে নীলফামারী ও যশোরে।
এছাড়া, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।