হাবিবুর রহমানের মতো নাটোর, পঞ্চগড়, বগুড়া, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, দিনাজপুর থেকে অনেকে শনির আখড়ায় পশুরহাটে গরু বিক্রি করতে এসেছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছে সবাই।
সোমবার শনির আখড়ায় হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঢাকায় গরু বিক্রি করতে আসিছি। এবার ১২টি গরু আনিছি। রাস্তার মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি। তবে ঢাকায় আসি ডেঙ্গুর ভয় লাগিচ্ছে।’
হাবিবুর বলেন, ‘শুনিছি এবার ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমার পরিবারের লোকজন প্রতিদিন খবর নিচ্ছে কেমন আছি। আমারে (আমাদের) সারাদিন-রাত গরু পাহাড়া দিতে হয়।’ সব সময় বাইরে থাকেন বলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহের মালেক মিয়া বলেন, এবার তিনি ১৫টি গরু এনেছেন। গরুর দাম সোয়া এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। এখন সবাই গরুর দরদাম করছে এবং পছন্দ করছে। সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন বোনাস পেলেই গরু কিনবে বলে আশা করছেন তিনি।
মালেক আরো বলেন, ‘সারা রাত আমাদের লোকজন গরু পাহাড়া দেয়। সারা রাত অনেক মশা কামড়ায়। সরকারের লোকজন যদি হাটে এসে মশা মারার ওষুধ দেয় তাহলে সবাই টেনশনমুক্তভাবে গরু বিক্রি করতে পারবে।’
পঞ্চগড় থেকে আসা আক্কাস বলেন, তাঁর মালিক এবার ৩০টি গরু হাটে এনেছেন। তিনি গরুগুলো তদারকি করছেন। ঈদের দুই একদিন আগেই বেচাকেনা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মানিক সর্দার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে গরু কেমন উঠেছে তা দেখতে এসেছি। তবে দামটা এবার অনেক বেশি বলে মনে হচ্ছে।’ আগামী শুক্রবারের মধ্যে পছন্দের গরু পেলে কিনবেন বলে জানান তিনি।
শনির আখড়া হাটের ইজারাদার কবির মিয়া বলেন, আজকেই পূর্ণাঙ্গ হাট বসেছে। গরু বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের এখনো বেতন-বোনাস না হওয়ায় ক্রেতা কম আসছে। তবে আগামী বুধবার থেকে কেনা-বেচা শুরু হওয়ার আশা করছেন তিনি।