
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর থেকে নতুন করে নজিরবিহীন ধরপাকড় চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রাজধানী শ্রীনগরসহ জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি কোনায় কোনায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সংযোগ। চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আটক রাখা হয়েছে কাশ্মিরি নেতাদের।
এই অচলাবস্থায় দেখা দিয়েছে খাদ্যে স্বল্পতা। সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগও। কারফিউ থাকায় চলাচলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। খাবারের স্বল্পতা ও এটিএম কাজ না করায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। সবচে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্তরা।
কাশ্মীরের এক বাসিন্দা বলেন, একজন লোকও রাস্তায় নেই। এটা কারফিউ না যেন নিজ বাড়িতে কারাগারে বন্দি। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে পড়ছে। আগামী চার-পাঁচ মাসের আগে মনে হয় না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কাশ্মীর এখন খাদের কিনারে।
শ্রীনগর কাশ্মীরের একটা প্রধান শহর। অথচ এখানে কোনো পত্রিকা নেই। পরিস্থিত খুবই ভয়াবহ। খাবার নেই, ওষুধ নেই। কী খেয়ে বাঁচবো থাকবো বলতে পারেন।
শিগরিগই নির্বাচন দেয়ার মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরে আনার চেষ্টা করলেও তাতে খুব একটা কাজে দেবে বলে মনে করছেন না দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।